পিকেএসএফ-এর ‘কপ-২৮’ সম্মেলনোত্তর মতবিনিময় সভা
- নিজস্ব প্রতিবেদক:
-
২০২৪-০১-১০ ২০:৫৪:৩৬
- Print
১০ জানুয়ারি পিকেএসএফ ‘কপ-২৮: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট: প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্তে¡ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা ও প্রশমন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করছে।
পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি এবং ঈঙচ-২৮ সম্মেলনের অভিজ্ঞতার ওপর উপস্থাপনা প্রদান করেন পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমাদ।
ড. এম. খায়রুল হোসেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় বহির্বিশ্বের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজস্ব সম্পদ ও সক্ষমতা ব্যবহার করে বাংলাদেশ সরকার মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান, ন্যাশনাল অ্যাডাপ্টেশন প্ল্যান এবং ন্যাশনাল অ্যাডাপ্টেশন প্রোগ্রাম অফ অ্যাকশন প্রণয়ন করেছে এবং এসবের বাস্তবায়ন চলছে। এর স্বীকৃতিস্বরূপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘এশিয়া ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত হয়েছেন।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অভিযোজন, প্রশমন, অর্থায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস হিসেবে উপক‚লীয় অঞ্চলে উইন্ড টারবাইন স্থাপন করে বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।
সূচনা বক্তব্যে পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে থাকা দরিদ্র ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় পিকেএসএফ নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব কাজের কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতার স্বীকৃতিস্বরূপ পিকেএসএফ ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আওতায় গঠিত গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) এবং অ্যাডাপ্টেশন ফান্ড-এর অ্যাক্রিডিটেড এন্টিটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কপ-২৮-এ প্রতিশ্রুত ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিল হতে পিকেএসএফ ভবিষ্যতে এ খাতে অর্থায়ন পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।