ঢাকা মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
বাঞ্ছারামপুরে ব্যাপক ভোট যে কারনে
  • মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • ২০২৪-০১-১০ ২০:৫১:২৮
নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও এবারের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ছিলো ব্যতিক্রম। সারা দেশে যে কয়টি আসনে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে তার একটি এই নির্বাচনী আসন। এটি জেলার ৬ নির্বাচনী এলাকা। শতকারা হারের হিসেবে ৭৬ পার্সেন্ট ভোট পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ নির্বাচনী এই আসনে। মোট ২ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩৩ ভোটের মধ্যে কাষ্ট হয়েছে ২লাখ ৯৭০ ভোট। এরমধ্যে বাতিল ভোটের সংখ্যা ১১৭৮। বাদবাকী ১লাখ ৯৯ হাজার৭৯২ ভোটের মধ্যে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ক্যাপ্টেন অব: তাজুল ইসলাম ইসলাম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১লাখ ৯৩ হাজার ৮৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি জাতীয় পার্টির মো: আমজাদ হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে ২৮১৭ ,বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির কবির মিয়া(একতারা)১৩৭৩ এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো: সফিকুল ইসলাম(আম) ১৭৩২ ভোট। ভোটের দিন আইয়ুবপুর, মরিচাকান্দি, কালিকাপুর, আসাদনগর, বাখরনগরসহ প্রায় সবকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। ভোটারের ব্যাপক উপস্থিতির বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম জানান,১৮ই ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী ক্যাম্পেইন শুরু হয়। ওইদিন থেকেই নির্বাচনী এলাকার ১১৩টি ইউনিয়ন,১টি পৌরসভা,১২৮টি গ্রামে আমরা প্রচারনা শুরু করি। আসলে তাজ সাহেবের মতো প্রতিদ্বন্ধি আমাদের এখানে নেই। তারপরও আমরা প্রত্যেকটা গ্রামে গ্রামে গেছি। প্রতি ইউনিয়নে উঠান বৈঠক করেছি ৩টি করে। আমাদের আবেদন ছিলো আপনারা ভোট দেবেন,নিজে সেন্টারে যাবেন এবং পরিবার,পাড়া-মহল্লা এবং গ্রামের সবাইকে নিয়ে যাবেন। নিজের ভোট নিজে দেবেন। এবার দানাই-পানাই চলবেনা। আমরা এব্যাপারে সবার প্রতিশ্রæতি নিয়েছি এবং বাঞ্ছারামপুরের সাধারণ ভোটাররা তাদের কমিটমেন্ট রক্ষা করেছেন। ৪ ঠা জানুয়ারী নির্বাচনী শেষ জনসভাতে ক্যাপ্টেন অব. এ বি তাজুল ইসলামের দেয়া বক্তব্যও ভোটারদের মনে দাগ কাটে। তিনি বলেন-নির্বাচন আসে পাঁচ বছরের জন্য। ১৮২৬ দিন লাগে পাঁচ বছর হইতে, লিপ ইয়ার হলে একদিন বাড়ে। আমি তো আপনাদের সন্তান এবং ভাই হিসেবে বিগত ২০ বছর ধরে আপনাদের সেবা করে যাচ্ছি। সেই সেবার সূত্র ধরে আগামি পাঁচ বছর আপনাদের সেবা করার জন্য আমি কি একটি দিন ধার চাইতে পারি না? একটা দিন ৭ জানুয়ারি আপনাদের কাছে ধার চাই। এই একটা দিন যদি আমাকে দেন, আমি এর বিনিময়ে আমার জীবন দিয়ে হলেও আপনাদের আশা আকাঙ্খা সমস্ত কিছু দেখভাল করে ওই একদিন বোনাসসহ ফেরত দিব, এটা আমার প্রতিশ্রæতি। তিনি আরো বলেন-আপনারা আপনাদের ছেলেমেয়েকে পয়সা খরচ করে লেখাপড়া করান। আপনি চান সে আশি মার্ক পাক, লেটার পাক, গোল্ডেন জিপিএ পাক। সে থার্ড ডিভিশন পাইলে কি ভালো লাগে। আপনারা যখন আমাকে ভোটই দিবেন, তাহলে ৯৫ পার্সেন্ট ভোট দেবেন। আমি আপনাদের জন্য খাটিনি? সেবা করিনি? দিনরাত পরিশ্রম করিনি? এটা আমার অধিকার আপনারা আমাকে ভোট দিবেন। ক্যাপ্টেন অব. এবি তাজুল ইসলাম এবার প মবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। এরআগে ১৯৯৬ এবং ২০০৮ থেকে টানা তিনবার অর্থাৎ ২০১৪ এবং ২০১৮ সালেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জয়ের ধারায় এবার টানা ৪র্থ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। ২০০৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমন্ত্রী করা হয়। আগের ৪ মেয়াদে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়াও নানা ক্ষেত্রে বাঞ্ছারামপুরকে সমৃদ্ধ করেন। দুই যুগ আগের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এই উপজেলা এখন জেলা, এমনকি দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মডেল।
পুলিশের অসাদাচরনের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 শিশু রুকাইয়া রহমান আনহাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
নীলফামারীর চিলাহাটিতে পেকিন হাঁস  পালন বিষয়ক খামার দিবস অনুষ্ঠিত