আন্দোলন চাই, সময় মতো আমি নাই’- এই মানসিকতা না বদলালে আন্দোলনে সফলতা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য।
তিনি বলেন, 'আন্দোলন চাই, সময় মতো আমি নিজে নাই, টেলিফোন বন্ধ। রাজপথে রক্ত দিমু, কর্মীরে বলুম সাবধানে থাইকো-হয় না, হয় না। ঈমান ঠিক করেন, যেদিন বলতে পারেন মরতে হয় মরবো, গণতন্ত্র আনবো। সেদিনই গণতন্ত্র মুক্তি পাবে, সেদিনই খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে, সেদিনই দেশ মুক্তি পাবে, সেদিনই জাতীয়তাবাদী শক্তি গোলামীর জিঞ্জির ছিঁড়ে নিজেদের মুক্ত করতে পারবে।'
নব্বইয়ের স্বৈরাচার এরশাদ ও ১/১১‘র সেনা প্রধান মঈন উ আহমেদের প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ১৯৮২ সালে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে স্বৈরাচার ক্ষমতায় আসছে, গণতন্ত্র বিসর্জন বুটের তলায় চলে গেলো। আর শেখ হাসিনা বললেন, আই অ্যাম নট আনহ্যাপী। গণতন্ত্র চলে গেলে যিনি বলেন, আনহ্যাপী, গণতন্ত্রবিহীন রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী তার জন্য সুখের। নাউ সি ইজ হ্যাপী। কেবল উইথ আউট সাপোর্ট, উইথ আউট ভোট সে বার বার প্রধানমন্ত্রী আছে।
১/১১ তে কি হলো? জেনারেল মঈন উ আহমেদ আসলো। কি কারণে আসলো? তাদের (আওয়ামী লীগ) যদি ক্ষমতায় থাকতো তারা নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারতো। তাহলে তারা কি কারণে আন্দোলন করলো, লগি-বৈঠা.. অনেক ঘটনা করে মঈন উ আহমদকে আনলও। তিনি (শেখ হাসিনা) বিদেশ যাওয়ার সময়ে এয়ারপোর্টে বললেন, তাদের সকল অপকর্ম আমি বৈধতা দেবো। সেইদিনই চুক্তি ফাইনাল।