পাবনা ৪ বাদে বাকি চার আসনের উপনির্বাচনে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি আওয়ামী লীগ। তবে নির্বাচনের মাঠ গরম করে রেখেছেন চার আসনের ১১৪জন মনোনয়ন প্রত্যাশী।
ঢাকা ১৮ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন মারা যাওয়ার পর শূন্য হয় আসনটি। এই আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ৫৬ জন। যদিও তাদের বেশিরভাগেরই তেমন কোন ভিত্তি নেই এই আসনে। যে দুয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা এখন একাধিক শিবিরে বিভক্ত।
আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যারা মনোনয়ন বোর্ডে আছেন তারা সবাই আমার রাজনৈতিক ইতিহাস জানেন। আমি শুধু একজন কর্মী না, সংগঠকের ভূমিকা হিসেবেও কাজ করেছি। সারাদেশের নারী সমাজকে সুসংগঠিত করেছি। আমি মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন,
ঢাকা ৫ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ২০ জন। সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা মারা যাওয়ার পরপরই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে শুরু হয় প্রচার প্রচারণা। সাধারণ নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা বিতর্কিত কাউকে যেন মনোনয়ন না দেয়া হয়।
নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর এই আসনের প্রচারণা আরো জমজমাট। সব মনোনয়ন প্রত্যাশীই দলের মনোনয়নের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী।
সুলতানা কামাল খুকুর ভাতিজি মেহরীন মোস্তফা দিশি বলেন, আমি আশাবাদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনা আমার সঙ্গে এলাকার মানুষের প্রতি যে ভালোবাসা এবং ঢাকা-৫ আসনের মানুষের সাথে আমার পারিবারিক যে সম্পৃক্ততা তা বিবেচনা করেই আমাকে মনোনয়ন দিবেন।
ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল বলেন,জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।তিনি আওয়ামী লীগ পরিবারের অভিভাবক। তার সিদ্ধান্তই আমার কাছে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আমি তার নির্দেশ অনুযায়ি কাজ করবো।
সিরাজগঞ্জ ১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন সবচেয়ে কম-মাত্র ৩ জন। তবে ঘুরেফিরে আওয়ামী লীগের প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের ছেলের নামই শোনা যাচ্ছে।
নওগাঁ ৬ আসনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংগ্রহ করেছে প্রায় তিন ডজন নেতা। কে পাচ্ছেন তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে গুঞ্জন রয়েছে সাবেক সংসদ সদস্যের বিরোধী পক্ষকে ঘিরে।
গেল ৩০শে আগস্ট আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় শুধু পাবনা ৪ আসনের প্রার্থী ঠিক করা হয়।