ঢাকা মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
পটুয়াখালী প্রেসক্লাব উদ্যোগে জেলা দিবস পালিত
  • এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু :
  • ২০২৪-০১-০১ ০৮:২৬:৩৩

পটুয়াখালী  প্রেসক্লাব উদ্যোগে ১ লা জানুয়ারী পটুয়াখালী জেলা দিবস উদযাপন উপলক্ষে  র্্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১ জানুয়ারী ( সোমবার) সকাল ১০ টায় পটুয়াখালী  প্রেসক্লাব আয়োজনে ক্লাব থেকে এক র্্যালী শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় প্রেসক্লাবের সামনে এসে র্্যালী শেষ হয়। পরে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি মোঃ জাফর খানের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক জাকারিয়া হৃদয়ের উপস্থাপনায় "উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পটুয়াখালী" শীর্ষক আলোচনা সভায় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম পিপিএম- বিপিএম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান হাফিজ৷ পৌরভার মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ।  আরো বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাবেক সভাপতি স্বপন ব্যানার্জী প্রমুখ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল)  মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল, সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দিন।

প্রকাশ, ১৮০৭ সালে বরিশালের জজ-ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে আসেন মিঃ বেটি। দক্ষিণাঞ্চলের সুন্দরবন কেটে বসত বৃদ্ধি পাওয়ায় বেটির শাসন আমলেই ১৮১২ সালে পটুয়াখালীকে নিয়ে গঠন করা হয় মির্জাগঞ্জ থানা। পরবর্তীতে দেওয়ানী শাসন প্রসারের জন্য ১৮১৭ সালে বরিশালে স্থাপন করা হয় পৃথক ৪টি মুন্সেফী চৌকি। এ চৌকি গুলো হোল বাউফল, কাউখালী, মেহেন্দিগঞ্জ ও কোটের হাট চৌকি। বাউফল চৌকির প্রথম মুন্সেফ হয়ে আসেন ব্রজ মোহন দত্ত। ১৮৬০ সালের ১জুন বাউফল থেকে চৌকি স্থানান্তর করা হয় লাউকাঠীতে। ব্রজ মোহন দত্ত লাউকাঠী চৌকিরও মুন্সেফ ছিলেন। লাউকাঠীর দক্ষিণ পাড়ে একসময় ছিল গভীর অরণ্য। ঐ অরণ্য মাঝে কোন এক সময় একদল কাপালিক এসে আস্তানা গাড়ে। বিগ্রহ স্থাপন করে প্রতিষ্ঠা করে কালিমন্দির। তারা জনবসতি এলাকায় গিয়ে ডাকাতি করত। লোকজন ঐ মন্দিরকে বলত ডাকাতিয়া কালিবাড়ি মন্দির। মুন্সেফ ব্রজ মোহন দত্ত প্রস্তাব করেন পটুয়াখালী নতুন মহকুমা প্রতিষ্ঠার। এ প্রস্তাব মোতাবেক ১৮৬৭ সালের ২৭ মার্চ কলিকাতা গেজেটে পটুয়াখালী মহকুমা সৃষ্টির ঘোষণা প্রকাশিত হয়। ১৮৭১ সালে পটুয়াখালী মহকুমায় রূপান্তরিত হয়। জমিদার হূদয় শংকরের পুত্র কালিকা প্রসাদ রায়ের নামানুসারে লাউকাঠীর দক্ষিণ পাড়ের নাম করা হয় কালিকাপুর। এখানেই গড়ে ওঠে শহর। মহকুমা সদর অফিস স্থাপিত হয় কালীবাড়ি পুকুরের পূর্ব পাড়ে। প্রথমে বাঁশ ও ছনের তৈরি ঘরে কোর্ট বসে বলে স্থানীয় লোকজন একে বলত বাউশশা কোর্ট। তখন ব্রজ মোহন দত্ত মুন্সেফ ও ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট দুই পদেই অধিষ্ঠিত হন। নতুন মহকুমার নাম হয় পটুয়াখালী। পার হয়ে গেল এক শতাব্দী। এল ১৯৬৯ সন। ইতিহাসে সংযোজিত হোল দেশের সাগর বিধৌত নতুন এক জেলা পটুয়াখালী। ১৯৬৯ সনের ১ জানুয়ারি খুলনা বিভাগের তত্কালীন কমিশনার এ.এম.এফ জেলা প্রশাসকের ভবনের দরবার হলে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। একই বছরের ৯ মার্চ পটুয়াখালী জেলা ১৮ তম জেলা হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ভাইস এডমিরাল এস. এম আহসান। পটুয়াখালীর প্রথম জেলা প্রশাসক ছিলেন হাবিবুল ইসলাম। 

২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ বরগুনা মহকুমাকে পটুয়াখালী জেলা থেকে পৃথক করে জেলায় উন্নীত করা হয়।
পাকিস্তান আমল থেকেই বৃহত্তর বরিশাল ও পটুয়াখালী ছিল খুলনা বিভাগের অন্তর্গত। পরবর্তীকালে সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস কার্যক্রমের অংশ হিসাবে ১৯৯৩ সালে ১ জানুয়ারি বৃহত্তর বরিশাল ও পটুয়াখালীর ছয়টি জেলা বরগুনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলা নিয়ে বাংলাদেশের পঞ্চম বিভাগ বরিশাল গঠিত হয়।

পটুয়াখালী জেলার আয়তন ১,২৪৩.৭৫ বর্গমাইল।  ৫৪ বছরের এ জেলায়  বর্তমানে লোক সংখ্যা প্রায় ১৮ লক্ষ। 
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ। নদী বিধৌত পটুয়াখালী জেলার খাল-বিল, পুকুর, নালা, নিম্নভূমি গুলো মৎস্য সম্পদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জেলার নদী মোহনাগুলো ইলিশ মাছের জন্য বিখ্যাত। 
পর্যটন নগরী কুয়াকাটা এ জেলার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। এখানে রয়েছে একসাথে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার অপরূপ দৃশ্য যা বিশ্বে বিরল। তাই পর্যটকদের কাছে পটুয়াখালী "সাগরকন্যা" নামে পরিচিত। উপজেলা সংখ্যানুসারে পটুয়াখালী বাংলাদেশের একটি "এ" শ্রেণীভুক্ত জেলা।

পুলিশের অসাদাচরনের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 শিশু রুকাইয়া রহমান আনহাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
নীলফামারীর চিলাহাটিতে পেকিন হাঁস  পালন বিষয়ক খামার দিবস অনুষ্ঠিত