ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
রাজবাড়ীতে চলাচলের রাস্তায় বেড়া দিলেন প্রভাবশালীরা
  • রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
  • ২০২৩-১২-৩০ ০৬:১৬:৫২

রাজবাড়ী পৌরসভার ধুঞ্চি গ্রামে দীর্ঘদিনের  চলাচলের রাস্তায় টিনের বেড়া দিয়েছে প্রভাবশালীরা।  ফলে তিনটি পরিবারের সদস্যরা তাদের বাড়িতে আটকা পড়েছে। ধুনচি  গ্রামের প্রভাবশালী আহসানউল্লাহ মুকুলের ৩১ শনিবার দুপুরে পথ আটকিয়ে এ বেগা দেন । 

শনিবার বেলা ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, মূল রাস্তা থেকে প্রায় দেড়শ ফুট দূরে নেছারউদ্দিন খোকার বাড়ি। তার বাড়ি যেতে একটি সরু  পথ ছিল। পথটি টিনের বেড়া দিয়ে আটকানো হয়েছে। একই সাথে আহসানউল্লাহ মুকুলের নিয়োজিত লোকজন গাছপালা কাটছে। পুরো জায়গাটি টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে দিচ্ছে। সেখানে অর্ধ শতাধিক মানুষ। তারা সকলেই আহসানউল্লাহ মুকুলের পক্ষের। মূল রাস্তা  থেকে নেছারউদ্দিন খোকার বাড়িতে যেতে হয়েছে অন্ততঃ পাঁচজন মানুষের বাড়ির উপর দিয়ে। 

ভুক্তভোগী নেছারউদ্দিন খোকা  জানান, তাদের পূর্ব পুরুষের আমল ধরলে প্রায় দুইশ বছর ধরে তারা এখানে বসবাস করছেন। মোট ৫৫ শতাংশ জমির মধ্যে ১৯৪১ সালে তার বাবা ১২ শতাংশ বিক্রি করেন আহসানউল্লাহ মুকুলের পূর্ব পুরুষের কাছে। বাকী জমি তারা ভোগ দখল করছিলেন। ২০০০ সালের দিকে আহসানউল্লাহ মুকুল দাবি করেন ৩১ শতাংশ জমি তাদের। পরে তিনি আদালতে মামলা করেন। মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে। শনিবার সকালে আহসানউল্লাহ মুকুল লোকজন এনে তাদের  চলাচলের রাস্তায় বেড়া দিয়ে দেয়। গাছগাছালি সব কেটে ফেলে। এখন তারাসহ মোট তিনটি পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে বন্দী অবস্থায় রয়েছেন। 

নেছারউদ্দিন খোকার ছোট ভাই নেহাল আহমেদ শহরের পরিচিত মুখ। তিনি একজন কবি ও সাংস্কৃতিক কর্মী। নেহাল আহমেদ জানান, নিজেকে বড় অসহায় মনে হচ্ছে। বিষয়টি তিনি পুলিশ সুপারকে জানালেও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। 

অভিযুক্ত আহসানউল্লাহ মুকুল জানান, এই জমি ১৯৬১ সালে নেছারউদ্দিন খোকার বাবার কাছ থেকে কেনা হয়েছে। তার পূর্বপুরুষ কিনেছিল। কিন্তু এটা তারা কিছুতেই মানতে চাননা। আদালতে কয়েকটি মামলা করেছিল। তার সবগুলোর রায় আমাদের পক্ষে এসেছে। যেকারণে আজ (শনিবার) আমর দখল নিয়েছি। 
চলাচলের রাস্তায় টিনের বেড়া দেওয়ার বিষয়ে বলেন, ওদের বাড়ির পেছন দিয়ে রাস্তা আছে। সেখান দিয়ে চলাচল করতে পারবে। 

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ জানান, এই জমিটি নিয়ে সমস্যা দীর্ঘদিনের বলে শুনেছি। তিনি রাজবাড়ীতে যোগ দেওয়ার পর দুবার অভিযোগ পেয়েছেন। দুবারই পুলিশ পাঠিয়ে মীমাংসা করেছেন। শনিবার অভিযোগ পাওয়ার পর আবারও পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেছেন। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসার কাজ পুলিশের নয়। স্থানীয়ভাবে বিষয়টির মীমাংসা করতে হবে।

শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে  একজনের মৃত্যু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে সকল সুবিধা দিত হাসিনা:  আলতাফ হোসেন চৌধুরী