ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার(পিএএ) এর লেখা দুইটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
আজ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর সদর উপজেলা হলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে বই দুটির মোড়ক উন্মোচন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
বই দুইটি হলো— ‘বাংলাদেশের জলাভূমি’ ও ‘বিশ্ব সেরা একশত বক্তৃতা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণ’।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল আহসান তালুকদার(পিএএ), ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান(পিপিএম সেবা), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়াছিন কবীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অমিত দেব নাথ, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসীম কুমার সাহা, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মনজুরুল ইসলাম, সরকারি ইয়াসিন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. ফজলুল হক খান, প্রশাসনসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি—বেসরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মো. কামরুল আহসান তালুকদার বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মো. আব্দুর রশিদ তালুকদার এবং মা রাশিদা বেগম শিক্ষকতা পেশায় জড়িত ছিলেন।
স্ত্রী আবেদা সুলতানা, ছেলে আবিদ আহসান জাইম এবং কন্যা জারা আহসানকে নিয়ে তার সংসার। তার বড় ভাই মো. শামীম আহসান তালুকদার একজন কলেজ শিক্ষক। ছোট ভাই মো. জিয়াউল আহসান তালুকদার এসপি হিসেবে কর্মরত।
মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার পিরোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ঢাকা নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি, ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কৃষিতে স্নাতক এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২৫তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রশাসন ক্যাডারে দ্বিতীয় এবং সম্মিলিত মেধা তালিকায় সপ্তম স্থান অধিকার করেন। তিনি সহকারী কমিশনার হিসেবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ফরিদপুরে যোগ দেন ২০০৬ সালের ২১ আগস্ট। সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে গাজীপুরের কালীগঞ্জ এবং ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যানের সহকারী একান্ত সচিব এবং পানিসম্পদ উপমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবেও কাজ করেন। বর্তমানে তিনি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে কর্মরত আছেন।
২০১৪ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে ঢাকা বিভাগে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ২০১৫ সালে ময়মনসিংহ বিভাগে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মনোনীত হন। এছাড়া ২০১৬ সালে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার সম্মাননা লাভ করেন। তিনি ভালুকায় ইউএনও থাকাকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে এক লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে তাদের অনুশীলনের সুযোগ সৃষ্টি করেন। কয়েক হাজার ক্ষুদে শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭ মার্চের ভাষণ বঙ্গবন্ধুর মতো করে উপস্থাপন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। অনন্য এ আয়োজনের জন্য ২০১৮ সালে ব্যক্তিগত শ্রেণিতে জাতীয় পর্যায় জনপ্রশাসন পদক লাভ করেন। তিনি ২৫তম বিসিএস ফোরামের নির্বাচিত সভাপতি।
তার নিরলস শ্রমের ফসল ‘মাঠ প্রশাসনের বিবর্তন প্রেক্ষাপট: বাংলাদেশ’ ও ‘পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রেক্ষিত: বাংলাদেশ’ নামক তথ্যবহুল দুটি গবেষণা গ্রন্থ ইতোমধ্যে মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ‘বিশ্ব সেরা একশত বক্তৃতা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণ’ তার প্রকাশিত তৃতীয় গ্রন্থ এবং ‘বাংলাদেশের জলাভূমি’ তার চতুর্থ প্রকাশিত গ্রন্থ।