ঢাকা শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়েছে খিরার আবাদ
  • মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
  • ২০২৩-১২-১৩ ০৭:০২:২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিবছরই বাড়ছে খিরার আবাদ। লাভ বেশী হওয়ায় কৃষকরা খিরা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এবছর ২৮৪ হেক্টর জমিতে খিরার আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭১০০ মেট্রিকটন। 

সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের সাদেকপুর গ্রামের অল্প পরিমান জমিতে চাষ হচ্ছে খিরা। এরআগে এ এলাকায় খিরার চাষ ছিলোনা। জেলার বা ারামপুর এবং নবীনগর উপজেলাতেই মুলত খিরার চাষ হয়।
 
সাদেকপুর গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম,মতিউর রহমান ও রোকন উদ্দিন গত ৩/৪ বছর ধরে খিরার চাষ করছেন। ধানের চেয়ে লাভ বেশী হওয়ায় খিরা চাষেই তাদের আগ্রহ বেশী। তারা জানান- দু’-আড়াই মাসে খিরা বিক্রি করা যায়। আর ধানের ফলন উঠতে সময় লাগে ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাস। ২ কানি ক্ষেতে খিরা চাষে খরচ হয় ১০/১৫ হাজার টাকা। উৎপাদন হয় ৪৫-৫০ মন। বিক্রি করা যায় ১-দেড় লাখ টাকা। প্রতি কেজি খিরা বিক্রি হয় এখানকার বাজারে ৪০ টাকা করে। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে গত ক’বছর  ধরে খিরা চাষ করছেন সাদেকপুর গ্রামের আবুল কাশেম। বলেন- খিরার চাহিদা ভালো। ধানের চেয়ে খিরায় লাভ বেশী। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা যায়। ভালো ফলন হলে ২ কানি জমিতে ৩০/৩৫ মন ধান হয়। আর খিরা কানি পিছু ২০/৫০ মন পাওয়া যায়। এবার খিরা চাষে ২০/৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। উৎপাদিত খিরা বিক্রি করে লাখ টাকা পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন। 

মতিউর রহমান ২২ শতক জমিতে খিরা চাষ করেছেন। এ থেকে উৎপাদিত খিরা ২০/২৫ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান। এরআগের বছর ৪০/৪৫ হাজার টাকার খিরা বিক্রি করেছেন। এবার বৃষ্টির কারনে কিছুটা সমস্যা হয়েছে বলে জানান তিনি। রোকন উদ্দিনের ২ কানি জমিতে খিরা চাষে খরচ ১৫ হাজার টাকা। লাখ-দেড়লাখ টাকার খিরা বেচতে পারবেন বলে জানান। একদফায় ৩০ হাজার টাকার খিরা বিক্রি করেছেন। বলেন- বৃষ্টি না হলে অনেক পয়সা বেচঁতে পারতাম। ধানের চেয়ে অনেক বেশী লাভ। ২ কানি ক্ষেতে ধানে লাভ হলে আর কতো হতো। প্রচুর লাভ খিরাতে। তাদেরটা দেখে দেখে অনেক মানুষ খিরা চাষ করছে বলেও জানান তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা  জানিয়েছে-১০ বছর আগে জেলায় ১’শ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হতো। সেটি বেড়ে এখন ২৮৪ হেক্টর হয়েছে। ভালো বাজার মুল্যের কারনে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় প্রতিবছরই বাড়ছে আবাদের পরিমান। কৃষি বিভাগও উদ্ধুদ্ধ করছে কৃষকদের।

দিনাজপুরে নিরাপদ বিষমুক্ত বারোবাসি ড্রাগন ফল পাওয়ার  দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন রতন কুমার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়েছে খিরার আবাদ
চিরিরবন্দরে গীষ্মকালিন পেঁয়াজের বাম্পার ফলন, দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা
সর্বশেষ সংবাদ