দিনাজপুরে ট্রাকে আগুন দেওয়া নাশকতা মামলায় এক যুবদল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সাথে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যানবাহনে আগুন দেওয়ার সাথে জড়িতদের চিহ্নিতসহ জড়িতদের তালিকাও তৈরি করেছে,পুলিশ।
গ্রেফতার কৃত যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন ইমরান (৩৪)। তিনি দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার সুন্দইল গ্রামের আলহাজ্ব আবুল কাসেমের ছেলে। সে যুবদলের কাহারোল উপজেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক।
আজ সোমবার (১১ডিসেম্বর) দুপুরে দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছেন। জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং এসময় উপস্হিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মমিনুল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাত আল মামুন,
বীরগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোদাদাদ হোসেন, কাহারোল থানার ইনচার্জ ফারুকুল ইসলাম এবং বীরগঞ্জ থানার ইনচার্জ মজিবুর রহমানসহ অন্যান্যরা।
পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, 'দেশজুড়ে হরতাল অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে দিনাজপুরে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের মহুগাঁও আমতলী বাজারের টেউনি ব্রীজের উপরে,৪ ডিসেম্বর রাতে শহরে দাঁড়িয়ে রাখা বাসে,৩ ডিসেম্বর রাতে খড় বোঝাই ট্রাকে আগুন দেয় দূর্বৃত্তরা। এছাড়াও ২৭ নভেম্বর জেলার কাহারোল উপজেলার মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি এবং গত শনিবার (২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে একই উপজেলার রামপুর ভাদগাও সেতু সংলগ্ন এলাকায়একটি ধান বোঝাই ট্রাকে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
অন্যদিকে চতুর্থ দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে ১৩ নভেম্বর দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অদূরে একটি ভুট্টা বজায় ট্রাকে অগ্নি সংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
রাতের অন্ধকারে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদেন চিহ্নিত করতে মাঠে নামেন পুলিশ। অবশেষে প্রত্যেকটি ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। তারই অংশ হিসেবে দু'টি অগ্নি সন্ত্রাসে জড়িতদের মধ্যে কাহারোল উপজেলার যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন ইমরানকে রোরবার রাতে বীরগঞ্জ উপজেলা এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তার দেওয়া স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে এসেছে দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে নির্দেশদাতা মাস্টার মাইন্ডদের নাম। তৈরি করা হয়েছে জড়িতদের তালিকা।'
পুলিশ সুপার এ সময় আরো জানান, 'পুলিশের সক্ষমতা আগের চাইতে অনেক বেড়েছে । এখন কেউ অপরাধ করে পজর পাবেনা। পাশাপাশি তিনি অপরাধে জড়িতদের স্বাভাবিক সামাজিক জীবনে ফিরে আসার আহবান জানিয়ে বলেন, আনোয়ার ওলেবেলের ছাত্র ছিল। তার পরিবারটির রয়েছে সামাজিক ঐতিহ্য। কোন কারনে হয়তঃ সে ভুল পথে চলে আগুন সন্ত্রাসের মত ঘটনায় জড়িয়েছে সে।'