ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরই দিনাজপুরের বাজারে এর প্রভাবে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুন হয়ে গেছে। সেইসাথে বাজারে কৃত্রিম সংকট ও অধিক লাভের আশায় পেঁয়াজ ব্যব্সায়ীরা পেঁয়াজের দোকান বন্ধ করে চপট দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ।
দিনাজপুরের বৃহত্তম পাইকারী কাঁচা বাজার বাহাদুর বাজারে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে। এসময় বাজারে আসা সাধারণ মানুষ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এবিষয়ে দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান , বাহাদুর বাজারে একজন নিবাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পাঠাচ্ছি ।
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে দিনাজপুরের বৃহত্তম পাইকারী ও খুচরা কাঁচা বাজার বাহাদুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে পাইকারী পেঁয়াজ ও রসুনের দোকানগুলো বেশ কয়েকটি বন্ধ। কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও সেগুলোতে রসুন ও আদাসহ অন্যনান্য সামগ্রী থাকলেও পেঁয়াজ নেই। কেউ কেউ পেঁয়াজের বস্তা নিয়ে গুদাম ঘরে লুকিয়ে রাখছে । সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখার পর পেঁয়াজের দোকান তাল বন্ধ করে তাড়াতাড়ি ছিটকে পড়ে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা ।
মাত্র ২/৩টি দোকানে খুচরা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ ২শত আর দেশী পেঁয়াজ ২শত ৬০টাকা কেজি দরে, যা গতকাল শুক্রবারও বিক্রি হয়েছে অর্ধেক দামে।
কয়েকজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জানান, শুক্রবার সরকারী ছুটি ছিল। আর কয়েকদিন থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ কেনার থেকে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছিল। হঠাৎ করে পেঁয়াজ আমদানী নিষেধাজ্ঞার খবরে বাজারে সংকট তৈরী হয়েছে। সেইসাথে মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় বেশী করে পেঁয়াজ কিনতে শুর“ করেছেন। তাই পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছেনা । আর ক্রেতারা বলছেন, রাতারাতি পেঁয়াজের সংকট এটা ব্যবসায়ীদের তৈরী।
বাহাদুর বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মোঃ ইসরাফীল জানান, বাজারে পেঁয়াজ নাই। যেটুকু আছে ভারতীয় পেঁয়াজ ২শত টাকা আর দেশী পেঁয়াজ ২৬০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা শহরের বালুয়াডাঙ্গা নিবাসী আলহাজ্ব শরিফ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, হঠাৎ করেই বাজারে পেঁয়াজ নাই। দু’একটা দোকানে থাকলেও দুইশত টাকা কেজি চায়। তাই পেঁয়াজ না কিনেই বাড়ি চলে যাচ্ছি।
দক্ষিণ লালবাগের তাজির উদ্দিন ও উপশহর কুয়েতি মসজিদ মোড় এলাকার মো: শামসুদ্দিন জানান, সব ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখে পালিয়েছেন। দুইশত টাকা কেজি পেঁয়াজ কিভাবে কিনব?