‘ভিটামিন ‘এ’খাওয়ান শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান’- এই শ্লোগানে সারাদেশের মতো ঝালকাঠি জেলায় ৯০ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে । আগামী ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। এ বছর ঝালকাঠিতে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ১০ হাজার ৩২৬ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭৮ হাজার ৭১১ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ঝালকাঠির সিভিল সার্জন এইচ.এম. জহিরুল ইসলাম। জেলার ৪টি উপজেলার ৩২টি ইউনিয়ন আর দুইটি পৌরসভায় একযোগে ৮২৪টি কেন্দ্রে এ কার্যক্রম চলবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এর বাইরেও জেলায় আরও ৬টি ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র থাকবে। এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১ হাজার ৬৪৮ জন স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরও ৩৬৬ জন মাঠকর্মী নিয়োজিত থাকবেন। ঐ দিন সকাল ৮টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন তারা।
কোনো শিশু যাতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাসসুল খাওয়ানো থেকে বাদ না পড়ে সে লক্ষ্যে সর্বত্র মাইকিং করে জনগণকে জানান দেওয়া হয়। এছাড়াও ভ্রমণে থাকাকালীন সময়েও বাস টার্মিনাল, ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটে অবস্থিত টিকা কেন্দ্রসহ যে কোনো টিকাদান কেন্দ্র থেকে শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে।
শিশুর অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যু হ্রাসসহ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল সকল ধরনের মৃত্যু হার হ্রাস করে। পরিবারের রান্নায় ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ভোজ্যতেল ও সবজি ব্যবহার শিশুর জন্য যথেষ্ট উপকারী।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী খলুলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মানিক রায়, দৈনিক অজানা বার্তা সম্পাদক এসএমএ রহমান কাজল , মেডিকেল অফিসার ডা. তাওরিদ আহমেদ, ডা. সিয়াম আহমেদ, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান।