ঢাকা রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
দিনাজপুরে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেশি হওয়ায় সবজির দাম কমতে শুরু করেছে
  • সুলতান মাহমুদ, দিনাজপুর:
  • ২০২৩-১১-২৮ ০৬:৪৪:২৭

দিনাজপুরে শীতের সবজি বাজারে ব্যাপক হারে আসায় কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। শহরের সবচেয়ে বড় সবজির বাহাদুর বাজারে ভোর হতেই দিনাজপুর জেলা সদরসহ  বিভিন্ন উপজেলা এবং ঠাকুরগাও জেলা সদর ও পীরগঞ্জ উপজেলার  প্রচুর পরিমান শীতকালীন সবজি এই বাজারে পাইকারী ও খুচরা বিক্রি হয়ে থাকে । 

শহরের বাহাদুর বাজার সবজির পাইকারী বাজার ভোরের দিকে সবজির পাইকারী বাজার পরে খুচরা সবজির বাজার বসে । শীতকালীন সবজির ফলন ভাল হওয়ায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি হওয়ায় সবজির দাম আগের চেয়ে কমে গেছে ।  চাহিদা মতো সবজি কিনতে পারছেন ক্রেতারা। বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও কমে গিয়েছিল। তবে এখন স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। দাম কমায় ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্য মতো সবজি কিনতে পেরে খুশি।

তবে চাষিদের কপালে পড়েছে চিন্তার  ভাঁজ পড়েছে। শীত পড়াতে সবজি উৎপাদন বেড়েছে, কিন্তু হরতাল-অবরোধের কারণে সবজি ঠিকমতো রাজধানী ঢাকায় পাঠাতে পারছেন না। ফলে স্থানীয় বাজারে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে লোকসান গুনতে হবে এমনটাই আশঙ্কা তাদের।

বর্তমানে  প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, মূলা ১০ টাকা, কাচা পেঁয়াজ পাতাসহ ৪০ টাকা, আলু নতুন  ৭০ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, সীম ৩০ টাকা, বেগুন (গোল) ২৫ টাকা, বেগুন (লম্বা) ২০ টাকা, ফুলকপি ও বাধাকপি ২৫ টাকা, শসা ২৫, কায়তা ২০, বরবটি ৩০, প্রতিটি লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ও পেঁপের কেজি ২০ টাকা। সবজির দাম কমে যাওয়ায় ক্রেতার সংখ্যাও কমে গেছে। 

সবজি বিক্রিতা আবু বকর সিদ্দিক বলেন , শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেশি হওয়ায় ক্রেতাও বাজারে আসছে না । তাই আমাদের সবজির বেচাবিক্রিও কমে গেছে । যদি সবজির দাম বেড়ে গেলে ক্রেতার সংখ্যাও বেড়ে যায়। 

বিক্রেতা শাহীন বলেন, আমরা প্রতি কেজি সবজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা লাভ করি। শীতকালে সবজির দাম অনেকটাই কম থাকে তাই মোটামুটি কাস্টমার বেশি। পাইকারি বাজারে প্রতিটি সবজির দাম কম হওয়ায় কম দামে বিক্রি করছি।

সবজি বিক্রেতা  খালেদুর রহমান বলেন, সবজি বাজারে ক্রেতাদের যে অস্বস্তিতে ছিল তা এখন আর নেই। সবজির উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, দামও কমেছে। আর চাষিরাও তাদের ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রি করতে পারবেন।

সবজির ক্রেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন ,বাজারে সবজির দাম আগের তুলনায় কমেছে ঠিকই অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম তো কমে নি। আমাদের আয় রোজগার তো বাড়েনি । সবজি তো শেষ কথা নয় মাছ মাংসের দাম আকাশ চুম্বি। কত দিন হয়ে হয়ে  মাছের বাজারে মাছ কিনতে পারিনি। 

সবজি ক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম জানান,কিছুদিন আগে তো সোনার মতোই দাম ছিল এসব সবজির। যাক এখন অনেকটাই কমে গেছে। আরেকটু কমলে ভালো হয়।

সবজি চাষি  কাশেম আলী বলেন, সবজির দাম কমেছে কিন্তু অবরোধ ও হরতালের কারণে আমরা ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারছি না। বর্তমানে সার, শ্রমিক খরচসহ সব জিনিসের দাম বেশি। সবজি চাষে আগের থেকে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। যে দামে সবজি বিক্রি করছি, এমন দাম থাকলে লোকসান গুনতে হবে।

দিনাজপুর ক্রষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা নুরুজ্জামান বলেন , জেলায় এ বছর ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে । এই অঞ্চলে শীতকালীন সবজির ফলন ভাল হয় । ইতোমধ্যে সবজি বাজারে ক্রেতাদের যে অস্বস্তিতে ছিল তা এখন আর নেই। সবজির উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, দামও কমেছে। আর চাষিরাও তাদের ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রি করতে পারবেন।

পেঁয়াজের বিজ চাষ করে লাখপতি ঠাকুরগাঁও এর মোয়াজ্জেম
ইএসডিও আরএমটিপি প্রকল্পের সহযোগিতায় সাইলেজ খাওয়ানোর কার্যকারিতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
পটুয়াখালীতে  উপকারি বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার  নামাজ আদায়
সর্বশেষ সংবাদ