ভোলার লালমোহনে যাত্রীবাহী বাস চাপায় শিশুসহ দুই পথচারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো দুইজন। এ সময় তিনটি যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। রোববার বেলা ১১ টায় ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমোহন পৌরশহরের লাঙ্গলখালী ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের করম আলীর ছেলে আব্দুল জব্বার (৫০) ও পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভুট্টু মিয়ার ছেলে মো. হাচনাইন (৫)।
এছাড়া আহত ব্যক্তিরা হলেন- পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মান্নানের ছেলে খোরশেদ আলম নাগর হাওলাদার। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে। লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের অন্নদা প্রসাদ এলাকার মনোরঞ্জনের ছেলে পুরুন জিৎ দাস নামে আরো একজন আহত অবস্থায় লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যাত্রীবাহী একটি ডাইরেক্ট বাস চরফ্যাশন থেকে ভোলায় যাচ্ছিল। ওই বাসটি লালমোহনের লাঙ্গলখালী ব্রিজ থেকে নামার সময় সামনে দিয়ে দুই শিশু দৌঁড় দেয়। এ সময় বাস চালক শিশুদের রক্ষা করতে গিয়ে বাসটিকে বা দিকে ঘুরালে সড়কের থাকা তিন পথচারী চাপা পড়ে। এতে গুরুতর আহত হন এক শিশুসহ ওই তিন পথচারী। পরে তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন।
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার শিকার চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। যাদের মধ্যে এক শিশুসহ দুইজন মারা গেছেন। এছাড়া আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল রেফার্ড করা হয়েছে। বাকী একজন লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অন্যদিকে, দুর্ঘটনায় দুইজন নিহতের খবরে তিনটি বাস ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। লালমোহন ফায়ার সার্ভিসের সামনে রাব্বী পরিবহন নামে একটি ও পৌরসভা ভবনের সামনে হাসিম পরিবহনসহ দুইটি যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর করা হয়।
লালমোহন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. এনায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পথচারীদের চাপা দেওয়া বাসটি আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।