ফুটবলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার চরম উত্তেজনাকর লড়াই। খেলা শুরুর আগেই গ্যালারিতে দুইদলের সমর্থকদের হাতিহাতির কারণে খেলা যথাসময়ে শুরু হয়নি। যে কারণে, ম্যাচটি মাঠে গড়াবে কিনা, সেটি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু না, শেষ পর্যন্ত ভক্তসমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণে মাঠে নেমেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।
বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেলতে নেমে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। দক্ষিণ আমেরিকা কোয়ালিফায়ারে এটি ব্রাজিলের টানা তৃতীয় হার। অপরদিকে ১ ম্যাচে হারের আবার জয়ে মেসির আর্জেন্টিনা।
খেলার প্রথমার্ধে একটি বলও জালে জড়াতে পারেনি কোনো দল। ফলে প্রথমার্ধে গোল ছাড়াই বিরতিতে যায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে শুরুটা ছিল ব্রাজিলেরই। একাধিকবার গোলপোস্টের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে স্বাগতিকরা। তবে ঘরের মাঠে দর্শকদের আনন্দ দেওয়া হয়নি সেলেসাওদের।
খেলার ধারার বিপরীতেই ম্যাচের প্রথম গোল করে বসে আর্জেন্টিনা। ৬৩ মিনিটে জিওভানি লো সেলসোর কর্নার থেকে লাফিয়ে হেড করেন নিকোলাস ওতামেন্ডি। বল ঠেকাতে ব্যর্থ অ্যালিসন। বাকি সময়ে আর কোনো গোল হয়নি। ফলে একটি গোল নিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আর্জেন্টিনা। খেলা চলাকালে ব্রাজিলের খেলোয়াড় জেয়েলিংটন লাল কার্ড পেয়েছেন।
এদিন খেলা শুরু হওয়ার আগেই গ্যালারিতে দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে তুমুল মারামারি শুরু হয়ে যায়। ঘটনার সূত্রপাত মূলত পতাকা রাখা নিয়ে। আর্জেন্টিনার পতাকা দেখে দুয়ো দিতে শুরু করে ব্রাজিল সমর্থকরা। এর প্রতিবাদ জানায় আর্জেন্টিনা সমর্থকরা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে।
এ অবস্থায় আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি সমর্থকদের শান্ত করতে সদলবলে এগিয়ে যান গ্যালারির দিকে; কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আর্জেন্টিনা দল মাঠ ছেড়ে উঠে যায়। তারা অশান্ত অবস্থায় খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে ম্যাচ কর্মকর্তা, ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন কর্মকর্তা ও নিরাপত্তাকর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বল মাঠে গড়ায়।