'স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা হয়তো হবে না; অটোপ্রমোশন কিংবা বিকল্প কোনকিছু ভাবা হচ্ছে' জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনার কারণে ১৭ই মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত রয়েছে। অনলাইন ও টিভি মাধ্যমেই ক্লাস-পরীক্ষাসহ শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
আজ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একজন শিক্ষার্থীর বক্তব্য শুনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "যা কিছু করছি সব তোমাদের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। এখন করোনার সময় তোমরা স্কুল করতে পারছে না। তারপরও বই আছে। তোমরা ভালো করে পড়াশোনা করো। পরীক্ষা তো হবে না, হয়তো প্রমোশন দিতে হবে। আমরা দেখছি কী করা যায়।"
বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ বেশি হয় বলে সরকার এখনও ভর্তুকি দিচ্ছে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে গ্রাহকরা যেন সচেতন হয়, বিদ্যুতের অপচয় যেন না করে।
তিনি আরো বলেন, দ্যুৎ কেন্দ্র, সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন বাড়ছে, বাড়ছে গ্রাহক। ২০২১ সালে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হবে। পর্যায়ক্রমে ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা তৈরি হবে বলেও জানান সরকার প্রধান।
উন্নয়ন হবে সর্বব্যাপী, শহর-গ্রাম বলে কোন ব্যবধান থাকবে না বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।