বিশ্বজুড়ে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য অত্যন্ত জটিল সমস্যা নিউমোনিয়া। বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৭ লাখ শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। আর বাংলাদেশে প্রতি বছর নিউমোনিয়ায় ২৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়।
এমন প্রেক্ষাপটে ‘নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করুন, প্রতিটি প্রশ্বাসই গুরুত্বপূর্ণ’ এমন প্রতিপাদ্য নিয়ে রোববার (১২ নভেম্বর) পালিত হচ্ছে বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সব হাসপাতালের রেসপিরেটরি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও লাং ফাউন্ডেশন সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই দশক ধরে বাংলাদেশের মতো মধ্যম ও স্বল্প আয়ের দেশে শিশু মৃত্যুর প্রথম কারণ নিউমোনিয়া। আর বায়ুদূষণের কারণে এই রোগে আক্রান্তের হার শহরে বসবাসকারী ও গরিবদের তুলনামূলক বেশি। তবে শহর ও গ্রাম উভয় জায়গায় বেশি মারা যাচ্ছে অক্সিজেনের অভাবে।
দেশে শীতকালে নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ে। তবে শিশুর জন্মের পর মায়ের বুকের দুধ খাওয়ালে নিউমোনিয়ার আশঙ্কা ১৫ শতাংশ কমে যায়। আর ঘরের বাতাসের গুণগতমান উন্নত করে নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি অর্ধেক কমানো সম্ভব।
বারডেম হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা জানান, নিউমোনিয়ার শুরুতে কাশি হয়; যা সাধারণত ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এ থেকে শ্বাসকষ্ট এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
শিশু বিশেজ্ঞরা বলছেন, শিশুর শ্বাসকষ্ট, জ্বর-কাঁশি, শ্বাসের সময় বুক ভেতরের দিকে দেবে যাওয়া ইত্যাদি নিউমোনিয়ার লক্ষণ। শীতকালে এই রোগের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই মায়েদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।