উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জন উন হয়তো মারা গেছেন। মৃত্যু না হলেও ‘কোমায়’ আছেন তিনি। বাতাসে এমন খবরই ভেসে বেড়াচ্ছিলো। বরাবরের মতো এবারও সেসব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে বুধবার (২৬ আগস্ট) প্রকাশ্যে আসলেন কিম।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির সভায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন কিম।
সেই সঙ্গে সম্ভাব্য টাইফুন বাভি’তে সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি ঠেকানো নিয়েও দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, চলতি সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ায় আঘাত হানতে পারে প্রলয়ংকরী টাইফুন ‘বাভি’। এর প্রভাবে কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিপাত হচ্ছে দেশটিতে। কিমের ওই বৈঠককে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছে কেএনসিএ।
গত শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক এক মন্ত্রী কোরিয়া হেরাল্ডকে বলেন, চীনের অজ্ঞাত একটি সূত্র তাকে জানিয়েছে কিম ‘কোমায় আছে’। তবে তার এখনো মৃত্যু হয়নি।
এরপর গত কয়েক দিন ধরে যুক্তরাজ্যের মিরর ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক পোস্টসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হচ্ছিল, কিমের স্বাস্থ্য ভালো নেই। মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে তার।
সম্প্রতি বোন কিম ইয়ো জংয়ের হাতে বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাড়তি দায়িত্ব দেওয়ার কারণে কিমের এবারের মৃত্যুর গুঞ্জন বেশি জোরালো ছিল।
সব অনিশ্চয়তা ভন্ডুল করে দিয়ে ফের জনসম্মুখে হাজির হলেন কিম।