প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে কারিগরি শিক্ষা এমন অভিযোগ দেশের ৫ লাখ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন ইনস্টিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি)র। এ অবস্থা দূর করতে হলে চিকিৎসকদের ন্যায় কারিগরিতে বিশেষ ব্যবস্থায় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান তারা।
রোববার (৫ নভেম্বর) আইডিইবি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আইডিইবি’র সভাপতি এ কে এম এ হামিদ।
আগামী ৮ নভেম্বর আইডিইবির ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গণপ্রকৌশল দিবস উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আইডিইবি সভাপতি বলেন,শিক্ষিত বেকার তৈরি বন্ধ করতে হলে কারিগরি শিক্ষার প্রতি শুধু মনযোগ নয়, দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।
তিনি বলেন, ৮২ শতাংশ শিক্ষক পদ ফাঁকা থাকারও পরও তা পূরণ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদিচ্ছার যথেষ্ট ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলার দিলেও তা আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দীর্ঘদিন ঘরে পড়ে আছে।
৮ নভেম্বর আইডিইবির ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গণপ্রকৌশল দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনের আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান জানান, জাতীয় টেকসই উন্নয়নে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গণমানুষের উদ্ভাবনী ধারণা ও উদ্যোক্তা বিকাশের বিষয়টি সামনে রেখে এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘উন্নয়নের জন্য উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা নীতি’। এসময় গণপ্রকৌশল দিবস সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন শামসুর রহমান।
কর্মসূচির মধেৎ রয়েছে ৮ নভেম্বর সারাদেশের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা ও আনন্দ র্যামলী, বিটিভি’তে বিশেষ আলেখ্যানুষ্ঠান, ১২ নভেম্বর ঢাকায় আইডিবিই ভবনে ‘ ‘উন্নয়নের জন্য উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা নীতি’ শীর্ষক সেমিনার, ৮-১৪ নভেম্বর দেশব্যাপী বিনামূল্যে প্রযুক্তিসেবা প্রভৃতি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি এ কে এম আব্দুল মোতালেব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কুদ্দুছ, মো. সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মুস্তাসীর হাফিজ, অর্থ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক মো. শাহজাহান কবির, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইদরীস আলী, ঢাকা জেনিকের সভাপতি মির্জা এটিএম গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোঃ ইলিয়াস প্রমুখ।