ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
সোনাহাট স্থলবন্দরে ৯ বছরেও চালু হয়নি ইমিগ্রেশন, বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত
  • এম এস সাগর, কুড়িগ্রাম:
  • ২০২৩-১১-০৫ ০২:১২:৪৬

রাজস্ব আয়ের বিপুল সম্ভাবনাময় স্থলবন্দর উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দর। এ বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ করা হলেও দীর দীর্ঘ ৯বছর থেকে ইমিগ্রেশন চালু না থাকায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের প্রসার হচ্ছে না। তাই ইমিগ্রেশন চালুর প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন বন্দর কর্মকর্তারা।

দেশের ১৮তম এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১০টি পণ্য আমদানি এবং বাংলাদেশ থেকে সব পণ্য রফতানি করতে বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। তবে বন্দর চালুর দীর্ঘ সময় পার হলেও এ পর্যন্ত শুধু কয়লা ও পাথর আমদানি করা হয়। এছাড়া হাতেগোনা কয়েকটি পণ্য রফতানি করা হয়। এতেই বছরে প্রায় ১২ কোটি টাকা আয় হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ইমিগ্রেশন চালু না থাকায় ব্যবসায়িক সম্পর্ক ব্যহত হচ্ছে। পাশাপাশি যোগাযোগের ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এছাড়া মাঝেমধ্যেই আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এতে প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এ বিষয়ে বন্দরের ব্যবসায়ী সাকিল বলেন, শুধু ইমিগ্রেশন না থাকায় ৪৫০কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করতে হয়। ফলে অনেক সময়েই জরুরি ব্যবসায়িক আলাপ সম্ভব হয় না।

ইমিগ্রেশন চালু হলে ভারতের সেভেন সিস্টারখ্যাত রাজ্যগুলোসহ ভুটানের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের সুবিধা হবে বলে জানান সোনাহাট স্থল বন্দরের আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।

বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রাকীব আহমেদ জুয়েল জানান, ইমিগ্রেশন চালু হলে উভয় দেশের মানুষের উপকার হবে, সম্পর্ক উন্নত হবে। এছাড়া ব্যবসার পরিধি বাড়ার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব বাড়বে।

কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে যেসব ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন, তা দ্রুত করা হবে।

বন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, সোনাহাট স্থল বন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর সিদ্ধান্ত হলে বন্দরের পক্ষ থেকে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালসহ প্রয়োজনীয় সব অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ইমিগ্রেশন চালুর প্রস্তুতি চলছে। এখন এটি দুই দেশের সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পেলে দ্রুত ইমিগ্রেশন চালু হবে।

২০১৩সালে সোনাহাট স্থলবন্দর চালু হলেও অবকাঠানো নির্মাণ করা হয় ২০১৬সালে। ১৪দশমিক ৬৮একর জমির ওপর বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়।

এ বন্দরে ৬০০মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ওয়্যারহাউজ, ৯৬হাজার বর্গফুটের পার্কিং ইয়ার্ড,  ৯৫হাজার বর্গফুটের ওপেন স্টকইয়ার্ড,  শ্রমিকদের জন্য দুটি বিশ্রামাগার, একটি প্রশাসনিক ভবন ও দ্বিতল ডরমেটরি ভবন রয়েছে।

শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে  একজনের মৃত্যু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে সকল সুবিধা দিত হাসিনা:  আলতাফ হোসেন চৌধুরী