ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩ উপজেলায় পৃথক ঘটনায় ৩ জন খুন হয়েছে। শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ছয়বাড়িয়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় আব্দুল আলিম মিয়ার ছেলে মোবারক মিয়া। মোবারকের বাবার অভিযোগ, ৬ মাস আগে তার ছেলের সাথে ছয়বাড়িয়া এলাকার সফর আলীর মেয়ে তানিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে নানাভাবে হয়রানী করে আসছিল। এর জের ধরে তার ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান,বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ করা হয়নি। এছাড়া বিজয়নগর উপজেলায় মেয়ের জামাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন শ্বশুর মোঃ হাফিজুর রহমান (৬৫)। শনিবার ভোর সকালে উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাফিজুর রহমান চম্পকনগর ইউনিয়নের নুরপর গ্রামের মৃত মোঃ গুলু রহমানের ছেলে। অভিযুক্ত নিহতের মেয়ের জামাই একই উপজেলার পেটুয়াজুড়ি গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে শামীম মিয়া।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহতের মেয়ে নাহিদার আক্তারের (২০) সঙ্গে পারিবারিকভাবে পাশের গ্রামের অভিযুক্ত শামীম মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহের কারণে নাহিদা আক্তার সংসার না করার সিদ্ধান্ত নিলে ক্ষিপ্ত হন শামীম। আজ সকালে শ্বশুর বাড়িতে এসে শ্বশুরকে সামনে পেয়ে ধারালো দেশিয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ রাজু আহমেদ জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘাতক জামাইকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।
সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নে জমি থেকে জমি থেকে ছাগলের ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে অটো চালক লিয়াকত আলী কে প্রতিবেশী রেজ্জাক মিয়া পিটিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেছে স্বজনরা। নিহতদের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।