স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে তৎকালীন গণপরিষদে বিল আকারে উপস্থাপিত হয় এবং সর্বসম্মতি ভাবে গণপরিষদে পাশ হয় উল্লেখ করে হুইপ ইবকালুর রহিম বলেন দেশের সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকারের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক আধুনিক, উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে জাতীয় মুলনীতির আলোকে সংবিধান রচিত হয়।
আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে জাতীয় সংবিধান দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে প্রশাসন আয়োজিত জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
ইকবাল আরোও বলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত, লালন ও বিকশিত করার জন্য প্রয়োজন সংবিধান মর্ম উপলদ্ধি, সঠিক চর্চা ও লালন করা। দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি সংবিধানের মুলনীতিসমুহ বিশ্বাস ও লালনের উপর নির্ভর করে। নাগরিক অধিকার ভোটর পাশাপাশি সকল নাগরিকের স্ব স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযাথ প্রতিপালনের মধ্যেই সংবিধানের মুল তাৎপর্য নিহিত রয়েছে। সংবিধান থেকে প্রাপ্ত অনুপ্রেরনা আমাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে জনগন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে বাংলাদেশ একটি স্মার্ট ও টেকসই উন্নয়নের মডেল হবে।
হুইপ বলেন, বঙ্গবন্ধু গণপরিষদে সংবিধান সম্পর্কে বলেন, “শাসনতন্ত্র ছাড়া কোন দেশ-তার অর্থ হল মাঝিবিহীন নৌকা, হালবিহীন নৌকা, শাসনতন্ত্রে মানুষের অধিকার থাকবে, শাসনতন্ত্রে মানুষের অধিকার সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যও থাকবে। শাসনতন্ত্রে জনগনের অধিকার থাকবে, কর্তব্যও থাকবে এবং যতদুর সম্ভব, যে শাসনতন্ত্র পেশ করায় হয়েছে, সেটা যে জনগনের আশা-আকাক্সখার মুর্ত প্রতীক হয়ে থাকবে, যে সমন্ধে আমার কোন সন্দেহ নেই।
হুইপ আরোও বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালি জাতিকে উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের সংবিধান। বাঙ্গালি জাতি পেলো অধিকারের দলিল। নতুন প্রজন্মদের আমাদের মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাস ও সংবিধানের চেতনা ধারনের জন্য জাতীয় সংবিধান দিবস অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আলোকিত। বিএনপি-জামায়াতের রেখে যাওয়া তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে পৌছে যাবে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য প্রযুক্তি সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করেছেন। মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন করেছেন। আজকে বাংলাদেশ একটি আত্মমর্যাদার দেশ। দেশে নানা ষড়যন্ত্রের মধ্যেও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করছে। আমরা আর কোন হত্যা হতে দিবো না, অগ্নি সন্ত্রাস করতে দিব না। এর দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিবে বাংলার জনগন।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহাগ চন্দ্র সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল জিন্নাহ আল মামুন, দিনাজপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার রমিজ আলম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বাবলু, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. শামীম আলম সরকার বাবু, সাধারন সম্পাদক এনাম উল্ল্যাহ জ্যামী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনে ছিলেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এম এ কাদের।