মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির পিতা উদাত্ত আহবানে এদেশের দামাল ছেলেরা ঝাপিয়ে পড়ে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধারা ফিরে আনে তাদের মাতৃভূমির স্বাধীনতা। ৭৫ এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যদিয়ি আমাদের জাতির পিতাকে কতিপয় বিপদগামী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্তে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। সেই আত্মস্বীকৃত খুনিদের প্রতিষ্ঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কলংকিত করেছিলো মেজর জিয়া। কিন্তু আমাদের মহান নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষায় সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা, চিকিৎসা, কবর বাধাই শুধু নায় ইতিহাস খ্যাত জায়গাগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। তারই আলোকে সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ উপজেলা মধ্য ভদ্রঘাট কালিবাড়িতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সৌধ ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর তৈরী করেছেন।
উল্লেখিত জাদুঘর ও স্মৃতি ফলক ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথী হিসেবে উদ্বোধন কালে মুক্তিযুদ্ধ বিষক মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. ক. ম মোজাম্মেল হক এমপি উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটি কুচক্রি মহল কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এ কুচক্রি মহল একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের বিদেশি প্রভূদের যুদ্ধের মাধ্যমে নয় ব্যালটের মাধ্যমে পরাজিত করব।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. বিমল কুমার দাসের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, বিশেষ অতিথি সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না, জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুল রহমান মন্ডল, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. কে এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, সিরাজগঞ্জ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সফিকুল ইসলাম, কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শহিদুল ইসলাম সবুজ, সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী সোরহাব আলী সরকার সিএনসি, গাজী শফিকুল ইসলাম শফি, গাজী লুৎফর রহমান মাখন, গাজী আমিনুল ইসলাম, গাজী ফজলুর রহমান খান, গাজী অ্যাড. সুকুমার চন্দ্র দাস, হোসনে আরা মির্জা প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত হোসেন ফিরোজী।
উল্লেখ্য যে, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় এই পলাশডাঙ্গা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি যাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধস্মৃতি সৌধ।