ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মৌচাক, সফিপুর,পল্লী বিদ্যুৎ ও চন্দ্রা এলাকায় শ্রমিক পুলিশের মধ্যে দাফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা হামলা চালিয়ে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি তানহা হাসপাতাল ভাংচুর করে। এছাড়া আগুন ধরিয়ে দেয় পুলিশ বক্সে ও গাড়ি ভাংচুর, ট্রাক, প্রাইভেট কারসহ মোটরসাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয় শ্রমিকরা। ভয়ে আতংকে বন্ধ হয়ে যায় সড়কের দুই পাশে দোকান পাট ও যানচলাচল। ফলে ভোগান্তিতে পড়ে স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন কর্মস্থলে যোগদানকারী লোকজন।
জানা যায়, বেতন বাড়ানোর দাবিতে ৮ম দিনের মত মঙ্গলবার সকালে কারখানার শ্রমিকরা কালিয়াকৈর উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মৌচাক,তেলিরচালা, সফিপুর,পল্লীবিদ্যুত ও চন্দ্রা এলাকায় মহাসড়কে নেমে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত শ্রমিকরা মৌচাক পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়, পরে শ্রমিকরা সফিপুর বাজারে আসলে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশ তানহা হাসপাতালে প্রবেশ করলে উত্তেজিত শ্রমিকরা তানহা হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। পরে তানহা হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করে চেয়ারটেবিল বাহিরে এনে মহাসড়কের উপর আগুন ধরিয়ে দেয়। শ্রমিকরা সফিপুর বাজারে পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয়। শ্রমিকরা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া চন্দ্রা এলাকায় আগুন ধরিয়ে দেয় ওয়ালটন প্লাজা। বোর্ড মিল এলাকায় ফরট্রিক্সকারখানায় বিক্ষোদ্ধ শ্রমিকেরা চারটি প্রাইভেটকার সহ ৩০ টি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেয়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্র আনতে পুলিশ টিয়ারসেল,সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে শ্রমিকরা পিছু হটলেও পুনারায় সড়কে অবস্থান নিয়ে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটাচ্ছে। ভাংচুর করছে সড়কে চলাচলরত কাচমাল পন্যবাহী কয়েকটি যানবাহন সহ কয়েকটি গামেন্টস।
কালিয়াকৈরে থানার ওসি আকবর আলী খান জানান,এরা সত্যিকারে শ্রমিক নয় এরা নামধারী শ্রমিক। শ্রমিকরা বিভিন্ন গার্মেন্টস হাসপাতাল ও সড়কে গাড়ি ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন দেয় প্রকৃত শ্রমিক এটা করতে পারে না। তাদের সড়ক থেকে সরে যেতে বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড,টিয়ারশেল,কাঁদানো গ্যাস ও লাঠিচার্জ করলে শ্রমিকরা সরে যায়। এতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে।