নাগেশ্বরীতে তেলিয়ানীর পাড় জান্নাতুন ফাতেহা দাখিল মাদ্রাসার নেই মঞ্জুরী এবং বড়বাড়ি দাখিল মাদরাসার ইনড্রেক ও মোবাইল নম্বর কৌশলে ব্যবহার করে অতি-গোপনে সুপার, আয়া ও নিরাপত্তা কর্মী (তিন পদে) নিয়োগ দেয়ার পায়তারার অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ বাহের আলীর বিরুদ্ধে। এদিকে ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে কুড়িগ্রাম কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। কাজী আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সুপার ও সভাপতি আব্দুল হাই এর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তেলিয়ানীর পাড় জান্নাতুন ফাতেহা দাখিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ বাহের আলী মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নীতিমালা অমান্য করে নাগেশ্বরী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল ইসলামের সাথে যোগসাজশ করে সুপার, আয়া ও নিরাপত্তা কর্মী (তিন পদে) অতি-গোপনে নিয়োগ পরীক্ষার পায়তারার অভিযোগ উঠেছে। অথচ তেলিয়ানীর পাড় দাখিল মাদ্রাসার নেই মঞ্জুরী তারপরেও বড়বাড়ি দাখিল মাদরাসার ইনড্রেক ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে কৌশলে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (দাখিল ও এবতেদায়ী মাদ্রাসা) মোঃ সাখাওয়াত হোসেন কে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে শূন্য তিন পদে নিয়োগ পরীক্ষার অনুমতি নেয়। এদিকে আগামী (৩নভেম্বর ২০২৩খ্রিঃ) শুক্রবার তিন পদে নিয়োগ পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজির প্রতিনিধি যুগ্ন সচিব ও প্রকল্প পরিচালক মোঃ হানিফ উদ্দিন। অভিযোগ রয়েছে ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ বাহের আলী মাদ্রাসায় অনিয়ম করার কারণে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর তার বেতন বন্ধ করেন। নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রার্থী সুপার পদে মোল্লাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার আমিনুল ইসলাম ও আয়া পদে তেলিয়ানীর পাড় এলাকার হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ জোহরা বেগম ও নিরাপত্তা কর্মী পদে ভারপ্রাপ্ত সুপার বাহের আলীর শ্যালক ও আনোয়ার হোসেনের ছেলে মামুন মিয়া কে নিয়োগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এদিকে ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে কুড়িগ্রাম কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। উক্ত তিন পদে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ না হলে মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংস হবে এবং আরো মামলা হতে পারে।
তেলিয়ানীর পাড় এলাকার লুৎফর রহমান, কাজী আমজাদ হোসেন, মেছের আলী, সিরাজুল ইসলামসহ অনেক বলেন, মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার বাহের আলীর অনিয়মে মাদ্রাসার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত সুপার বাহের আলী অতি গোপনে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে অবৈধভাবে সুপার, আয়া ও নিরাপত্তা কর্মী (তিন পদে) নিয়োগ পরীক্ষার পায়তারা করছে। নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রার্থী সুপার পদে আমিনুল ইসলাম ও আয়া পদে হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ জোহরা বেগম ও নিরাপত্তা কর্মী পদে ভারপ্রাপ্ত সুপার বাহের আলীর শ্যালক মামুন মিয়া কে নিয়োগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট উধ্বতর্ন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
তেলিয়ানীর পাড় জান্নাতুন ফাতেহা দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, এসব বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার বাহের আলীর সাথে যোগাযোগ করেন।
তেলিয়ানীর পাড় জান্নাতুন ফাতেহা দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ বাহের আলী গোপনে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি বাড়ীর জমি বন্ধক রেখে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে মঞ্জুরী নবায়নের জন্য আবেদন করেছি তবে এখনো মঞ্জুরীর কাগজ পাইনি। নিয়োগ পার করতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন। আমি আপনাদের সাথে কথা বলবো।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাগেশ্বরী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল ইসলাম বলেন, নিয়োগের বিষয়ে আমি জানি না। ডিজির প্রতিনিধির কাগজ দেখালে তিনি বলেন, সংবাদ প্রচার করার প্রয়োজন নেই। আমি সুপার কে বলবো তিনি দেখা করবেন।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, গোপন নিয়োগ কার্যক্রম কোনভাবেই হবে না। অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংবাদ প্রচার করেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।