গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার আরসিসি পাকা সড়ক বন্ধ করে ইটের দেওয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী একটি মহলের বিরুদ্ধে। এতে বাধা দেওয়ায় দুইজনকে মারধর করে আহত করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার সাহেদনগর বেপারীপাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। দখলের উদ্দেশ্যে স্থানীয় বাসিন্দা মৃত আলাউদ্দিনের বড় ছেলে রোকনুজ্জামান রোকন গং ২৫/৩০ জন লোক ভাড়া করে এনে রাস্তার মাঝখানে ইটের দেয়াল নির্মাণ করে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, একই এলাকার গোলবার হোসেন অনন্ত (৪৫) ও শাহজামাল (৫০)। সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তারা।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে হাসপাতাল থেকে আহত গোলবার হোসেন অনন্ত জানান, সাহেদনগর ব্যাপারীপাড়ার মূল সড়ক থেকে ৪/৫টি পরিবারের যাতায়াতের জন্য ৬৫ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি সড়ক রয়েছে। ৫৭ বছর ধরে ওই সড়ক দিয়ে এসব পরিবারের লোকজন যাতায়াত করে। ২০১২ সালে পৌর কর্তৃপক্ষ সিডিসি প্রকল্পের আওতায় ৪ ফুট প্রস্থের একটি আরসিসি পাকা রাস্তা নির্মাণ করে।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রোকনুজ্জামান রোকন গং ২৫/৩০ জন ভাড়াটিয়া লোক এনে মাঝখানে ইটের দেয়াল নির্মাণ করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের মারধর করে ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এ সময় ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ ও গালিগালাজ করে চলে যায় তারা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ জানান, সরকারি এই রাস্তাটি দখলের উদ্দেশ্যে রোকনুজ্জামান গংদের দিয়ে একাধিকবার দখলের চেষ্টা চালিয়েছেন এলাকার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী হাজী আব্দুস সালাম ব্যাপারী। ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, ওই রাস্তাটি বন্ধ করা হলে চারটি পরিবারের যাতায়াতের কোনো রাস্তাই থাকবে না।
অভিযোগের বিষয়ে আব্দুস সালাম ব্যাপারী বলেন, রাস্তা বন্ধ করে ওয়াল নির্মাণের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি ঢাকায় ছিলাম। তাছাড়াও ৬ মাস আগে থেকেই ওই বিষয় থেকে সরে এসেছি।
এলাকাবাসি জানায়, কেন দীর্ঘ দিনের এই রাস্তাটি পার্শবর্তি গ্রাম থেকে অঞ্জাত নামা উশৃক্সখল প্রকৃতির লোকজন নিয়ে শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করেছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
সিরাজগঞ্জ ১নং শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক জাকারিয়া খান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এলাকায় শান্তি শৃক্সখলা রক্ষায় সবাইকে সহাবস্থান করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে রাস্তাটি বন্ধের পায়তারা করলে তা পৌর মেয়র, পুলিশের হস্তক্ষেপে বন্ধ করতে পারেনি।