পটুয়াখালী পৌরসভায় ৬টিসহ জেলার ৮টি উপজেলায় ১৯৯ টি পূজামন্ডপে সনাতনী পঞ্জিকা অনুযায়ী ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ বোধন, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন আনন্দ রেলি ও অধিবাসের মধ্যদিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব সার্বজনীন শারদীয় দুর্গাপূজা শুভারম্ভ হয়েছে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও আনন্দ রেলির মাধ্যমে পুজো পরিক্রমা শুভারম্ভ হয়। পটুয়াখালী নতুন বাজার শ্রী শ্রী মদনমোহন জিঁউর আখড়াবারী তে মঙ্গল প্রদীপ উজ্জ্বলন ও র্যালির উদ্বোধন করেন সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী পটুয়াখালী ১ আসনের সংসদ সদস্য এর পক্ষে তার ছেলে বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট আরিফুজ্জামান রনি, এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমেন্দ্র চন্দ্র শৈলেন,কোষাধক্ষ্য সবির গাজী এছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক ও স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ।
২০ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচদিন ব্যাপী দুর্গাপূজা অনুষ্ঠান নিরাপদ করতে মন্ডপসমূহে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম বিপিএম,পিপিএম ইতো মধ্যে মন্দির গুলোতে ভ্রমন করেছেন এবং জানিয়েছেন, প্রতিমন্ডপে প্রয়োজনমতে ৮ জন বা ৬ জন বা ৫ জন করে পুলিশ আনসার নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতি পূজামন্ডপে ও পুজারীদের আসা- যাওয়ার পথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়াও সাদা পোশাকে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা পূজামন্ডপ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। স্ব স্ব মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দকে দক্ষ ভলান্টিয়ার রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও পুলিশ সুপার জানান।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জী জানান, এ বছর জেলায় ১ টি পৌরসভা ও ৮ টি উপজেলায় সর্বমোট ১৯৯ টি মন্ডপে সার্বজনিন শ্রী শ্রী দুর্গা পূজা উদযাপিত হচ্ছে। এর মধ্যে পটুয়াখালী পৌরসভায় ৬ টি, সদর উপজেলায় ২৭ টি, দশমিনা উপজেলায় ১৬টি, গলাচিপা উপজেলায় ২৯টি, কলাপাড়ায় ১৮টি, মির্জাগঞ্জে ২০ টি, দুমকিতে ১০টি ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৬ টি মন্ডপ। ২০ অক্টোবর শুক্রবার ষষ্ঠী তিথিতে ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ বোধন, আমন্ত্রন ও অধিবাসনের মধ্যদিয়ে পূজা শুরু হয়েছে। এছাড়া ২১ অক্টোবর সপ্তমী তিথিতে নবপত্রিকা প্রবেশান্তে সপ্তমী বিহিত পূজা ২২ অক্টোবর মহাষ্টমী, সন্ধি পূজা ও কুমারী পূজা, ২৩ অক্টোবর মহা নবমী পূজা এবং ২৪ অক্টোবর দশমী বিহিত পূজান্তে দেবী দুর্গার দর্পন বিসর্জন করা হবে বলে নতুন বাজার আখড়াবাড়ি মন্দিরের পুরোহিত জানান।
এ বছর দেবীদুর্গা ঘটকে আসবেন এবং ঘটকেই যাবেন।