রাজশাহীর পুঠিয়ায় পাটের নায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকের মাথায় হাত লোকসানের মুখে পড়ছেন সোনালি আশ চাষীরা। পাটের কোন কারণ ছাড়াই এমন দরপতনে বড় লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষীরা। আবহাওয়ার বিরুপ কারনে এখানে সময় মত বৃষ্টি না হওয়ায় পাট চাষিদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এই দামে পাট বিক্রি করে খরচের টাকা না উঠায় হতাশ হয়ে পড়েছেন চাষিরা। কোন কারণ ছাড়াই পাটের কমে যাওয়ার ফলে পাট ব্যবসায়ীরা চাষীদের কাছ থেকে কম দরেই পাট কিনছেন। এ কারণে তারা পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন পাট চাষিদের মধ্যে।
পুঠিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানি সরকার বলেন, বৈরি আবহাওয়ার কারনে পাট বপনের সময় বৃষ্টির পানি না হওয়া এবং পাট কাটার সময়ও বৃষ্টির পানি না পাটের ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তার পরেও পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাটের রংটাও একটু খারাপ হয়েছে এতে পাটের নায্য মুল্য পেতে পাট চাষিদের বেগ পেতে হচ্ছে। চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল প্রায় ৪ হাজার ৪শত ৬০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে।গত মৌসুমের পাট চাষ হয়েছিল প্রায় ৪ হাজার ৩শত ৮০হেঃ গত মৌসুমের চেয়ে ৮০ হেক্টর বেশি পাট চাষ হয়েছে।
উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের জাহিদ হাসান বলেন,এবার বীজ বপন থেকে শুরু করে সার, শ্রমিক খরচ, জাগ দেয়া, আঁশ ছাড়ানো ও ঘরে তোলা পর্যন্ত বিঘা প্রতি খরচ পড়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। বিঘাতে পাটের ফলন হয়েছে ৭/৮ মন। পক্ষান্তরে কৃষকদের বিঘাপ্রতি আয় হচ্ছে প্রায় ১৫/১৬ হাজার টাকা।
উপজেলার কান্দ্র,পুঠিয়া,বানেশ্বর, ঝলমলিয়া এলাকার পাট চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বর্তমান বাজার মূল্যে পাট বিক্রয় করে নিট খরচ উঠছে না। মৌসুমের শুরুতে মন প্রতি পাটের দাম ২৫০০ টাকা থাকলেও বাজারে পাটের সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে তা নেমে আসে ১৬৫০/১৮০০ টাকা।
উপজেলা উপ-কৃষি কর্মকর্তা মুন্জুরুল হক বলেন, বিগত কয়েক বছরে পাটের দাম ভাল থাকায় এবছর পাট চাষের লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য চাষীদের উন্নত জাতের বীজ প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।
সময়মত পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা ঠিকমত পাট জাগ দিতে পারে নাই সে কারনে পাট এর আশেঁর মান খারাপ হতে পারে। এর ফলে পাটের দাম কমে যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন।