তিনদিন ধরে জোয়ারের পানি ঢুকে গুদামে রাখা চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের মালামাল নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে বেচা-কেনা। দিনে দু'বার জোয়ারের সময় হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের মতো পণ্য নষ্ট হচ্ছে। এতে শত কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তাই জোয়ারের পানি ঠেকাতে স্লুইস গেইট নিমাণের দাবি তাদের।
দুপুরে একবার এবং রাতে আরেকবার পানিতে ডুবছে পুরো এলাকা। রাস্তার পাশাপাশি গুদামগুলোতেও এখন হাঁটু সমান পানি। নষ্ট হচ্ছে গুদামে রাখা লাখ লাখ টাকার মালামাল। দিন রাত পানি সেচেও বাঁচানো যাচ্ছে না গুদামে রাখা মালামাল।
জোয়ারের পানির কারণে ক্রেতারা বাজারমুখী না হওয়ায় বেচাকেনা নেমে আসছে শূন্যের কোটায়। পচন ধরেছে আদা-রসুন এবং পেঁয়াজ।
এক ব্যবসায়ী বলেন, অন্তত ১০ লাখ টাকার মতো মাল পানির নিচে চলে গেছে। রসুন ভিজে গেছে। রসুন ভিজলে বিক্রিও করা যায় না, তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। ৫০ টাকার মাল ১০ টাকা হয়ে গেছে। ১৫০ টাকার আদা ১০০ টাকা হয়ে গেছে।
অন্য আরেক ব্যবসায়ী বলেন, এখন বিক্রির সময়। কিছু কাষ্টমার আসবে। বৃষ্টি আসে নাই কিন্তু জোয়ারের পানির কারণে কোনো কাষ্টমার নাই। আমরা এমনেই বসে আছি।
কর্ণফুলী নদী এবং চাক্তাই খালের পাশেই অবস্থান খাতুনগঞ্জ কিংবা চাক্তাইয়ের। তাই জোয়ারের পানি ঠেকাতে স্লুইস গেইট নিমাণের দাবি দীর্ঘদিনের।
খাতুনগঞ্জের এক বাসিন্দা বলেন, আমরা বার বার শুনতেছি যে স্লুইস গেটের কাজ চলতেছে। কিন্তু ২ থেকে আড়াই বছরে কোনো কাজেই হয় নাই এখানে। আমাদের দাবি দ্রুত যেন কাজ সম্পন্ন হয় এবং এটার সুফল আমরা যেন ভোগ করতে পারি।
রাস্তার পাশে ব্যাংকের সামনে পানি থাকায় লেনদেনও কম হয়েছে। ৫ বর্গমাইলের এই পাইকারি বাজারে ৫ হাজারের বেশি গুদাম রয়েছে।