দিনাজপুরের রাইস মিল শিল্পের পরিবেশগত ঝুঁকি কমিয়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রবৃদ্ধি' প্রকল্প ও হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ।
আজ বুধবার (৪ অক্টোবর হাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিআইপি সভা কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। হাবিপ্রবির পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করে রেজিষ্ট্রার প্রফেসর ড. সাইফুর রহমান ও প্রবৃদ্ধি প্রকল্পের টিম লিডার জনাব মারকাস এইমান । এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডঃ এম কামরুজ্জামান।
এই চুক্তির অধীনে যৌথ গবেষণা, প্রযুক্তি ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে রাইস মিল শিল্পের টেকসই উন্নয়নের সম্ভাব্য উপায়গুলো চিহ্নিত করা হবে। গবেষণার প্রাপ্ত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো সমাধানে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রবৃদ্ধি প্রকল্পের টিম লিডার জনাব মারকাস এহমান পরিবেশগত সমস্যা মোকাবেলায় উল্লেখ যোগ্য অগ্রগতির সম্ভাবনার উপর জোর দিয়ে এই চুক্তির উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। উপরন্তু, তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এই উদ্যোগ সফলভাবে স্থানীয় পর্যায়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়নের প্রসার ঘটাবে।
হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডঃ এম কামরুজ্জামান বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে সাশ্রয়ী পরিবেশ-বান্ধব উৎপাদন কৌশল চিহ্নিত করার মাধ্যমে রাইস মিল শিল্পের সার্বিক স্থায়িত্ব ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করা হবে। তিনি বলেন দিনাজপুর যেহেতু কৃষি ভিত্তিক এলাকা তাই দিন দিন রাইস মিল গড়ে উঠছে অপরিকল্পিত ভাবে । ফলে বায়ু দূষনের পরিমান দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে । তাই গবেষনার মাধ্যমে স্থানীয় ভাবে বায়ু দূষনের কাজটি করতে পরলেই আমরা বায়ু দূষন রোধ করা সম্ভব হবে ।
উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর একে অপরের চুক্তিপত্র বিনিময় করা হয় । চুক্তি স্বাক্ষর ও চিুক্তি পত্র বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রবৃদ্ধি' প্রকল্পের উদ্ধর্তন কর্মকর্তা ও হাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডীন, আইডি পরিচালক ও হাবিপ্রবি প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাগন ।
উল্লেখ্য যে, স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিডি) ও সুইসকন্টাক্ট-এর যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন প্রবৃদ্ধি প্রকল্পটি বর্তমানে দেশের ছয়টি পৌরসভার সাথে স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ে কাজ করছে। ২০২৪ সালের মধ্যে আরও দুটি পৌরসভা এই প্রকল্পে যুক্ত হবে।