ঢাকা মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কোন বিকল্প নেই বাংলাদেশে’ উঠান বৈঠকে ঢাকা ১৯ আসনে মনোন
  • জসিম উদ্দিন বিজয়, সাভারঃ
  • ২০২৩-০৯-২৭ ০৯:০৩:০১

ঢাকা ১৯ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চেয়ারম্যানের উঠান বৈঠকে জনসমাবেশে পরিনত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টম্বর) দুপুরে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এবং বিকেলে শিমুলিয়া বাজারে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আশুলিয়া থানা আওয়মী লীগের সাধারন সম্পাদক ও ধামসোনা ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের উঠান বৈঠকে গণসমাবেশে পরিনিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে একক সংখ্যাঘনিষ্ঠ দল হিসেবে ক্ষমতায় আবার যাবে এটি আমি দৃড়ভাবে বিশ্বাস করি। আমি কোন ভাবে বলতে চাই না আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় না আসতে পারে, এ কথা আমি কিছুতেই বলতে চাই না এবং কোন সুযোগ অন্ত্যত আমার কাছে নেই।

’সরকারের উন্নয়ন বিষয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ্আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর যে উন্নয়ন সারা বাংলাদেশে করেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কোন বিকল্প বাংলাদেশে নেই। আপনারা দেখেছেন কিছুদিন পূর্বে ভারতে জি২০ সম্মেলনে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গিয়েছিলেন। ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মদী যে সম্মান আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়েছেন ইতিহাসের বিরল ঘটনা। কোন প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এতো সম্মান দেখাননি যা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়েছেন।’ 

তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গিয়েছিলেন সেখানে তিনি বিভিন্ন সেশনে  বক্তব্য দিয়েছেন  জি২০ এবং জাতিসংঘের নের্তৃত্বের কারনে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বেও সবচেয়ে ক্ষমতাদ্বর রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেভাবে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে সারা প্রথিবীর নেতৃবৃন্দরা জননেত্রী শেখ হাসিনার বহুশী প্রশংসা করেছেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বে নের্তৃত্ব ইতিমধ্যে দেওয়া শুরু করেছেন। আমেরিকা বাংলাদেশের কিছু ব্যাক্তির উপর সেনশন দিবেন যারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাধাগ্রস্ত করবে, নির্বাচনকে প্রভাবীত করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে সেনশন দিবেন এই ঘোষনা তারা ৩মাস আগেই দিয়েছেন এবং দুই একের মধ্যে তারা এই ঘোষনা কার্যকর করবেন এই ঘোষনাও দিয়েছেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকার মাটিতেই বসেই সংবাদ সম্মেলনে করে বলেছেন, আপনারা সেনশন দিলে আমাদের কিছু যায় আসে না। দেশের বাহিরে বসে যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে তাদেরকেও সেনশন দিবেন। আপনারা যদি তাদের সেনশন না দেন বাংলাদেশের জনগণ তাদের সেনশন দিবে। এমন সাহসী নেত্রীকে বাংলাদেশের জনগণ আবারো ভোট দিয়ে আগামীতে সরকার গঠন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। 

তিনি আরো বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। ঢাকা ১৯ সাভার আশুলিয়া নিয়ে গঠিত। এই নির্বাচন এলপাকায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবশ্যই জনগণের অংশগ্রহনমূলক একটি নির্বাচন হতে হবে। জনগণ যাকে চায় এই দেশের আওয়ামী লীগের তৃনমূলের নেতারা যাকে চায় তাকে যদি মনোনয়ন না দেন। একজন অরাজনৈতিক ব্যাক্তিকে মনোনয়ন দেন, জনগণের সাথে যদি কারো সম্পৃক্ততা না থাকে এবং তৃনমূলের নেতাদের সাথে যদি সম্পৃক্ততা না থাকে তাহলে পাস করতে পারবে কিনা? তাই বাংলাদেরশের সকল গোয়েন্দা সংস্থা এবং মিডিয়ার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডকে আমি বিনীত ভাবে অনুরোদ করছি এই তথ্য উপাত্তগুলো দেখার জন্য। নৌকার মনোনয়ন দিলেই সে পাস করবে এটি ভাবনার কোন কারন আছে বলে আমি মনে করি না তার কারন গত বছর হয়ে যাওয়া বাংলাদেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। সেই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তথ্য ভূল দেওয়ার কারনে অনেককেই নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়েছিলো। সেই নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হতে পারে নি। বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রেীহী প্রার্থী। যদি সঠিক ব্যাক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হতো তাহলে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হতো বলে আমি মনে করি। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী দেশের সকল গোয়েন্দা সংস্থা,মিডিয়াকর্মীদের বলতে চাই, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধাদের চাহিদা অনুযায়ী তাদের প্রত্যাশিত ব্যাক্তিকে মনোনয়ন যদি না দেওয়া হয় আগামী সংসদ নির্বাচনে ১৯ আসনে কি হবে কেউ বলতে পারবে না।’ মনোনয়ন পেলে জয়ী হতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে যদি মনোনয়ন দেওয়া হয় আমি সকলকে  নিয়ে আগামী নির্বাচনে বিপুল ভোটে নৌকাকে বিজয়ী করতে পারবো। কারন আমি মনোনয়ন প্রত্যাশি হয়ে যেখানে উঠান বৈঠকে যাচ্ছি সেখানেই গনসমাবেশে পরিনিত হচ্ছে।’ 

এসময় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. পারভেজ দেওয়ান। ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ সুমন ভূঁইয়া।  ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল মেয়র এনামুল হক মুন্সি। ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ মন্ডল, সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান মতিনসহ অঙ্গসংসঠনের নেতাকর্মীরা।

সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনী চায় বিএনপি
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
বিএনপির সংস্কার প্রস্তাবে যা যা থাকছে