সিরাজগঞ্জের সরকারি দফতর থেকে সরকারের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রাজস্ব আসে তার মধ্যে অন্যতম কাজিপুর সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়। অথচ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটি দীর্ঘদিন ধরে জনবল সঙ্কটে জমি রেজিস্ট্রি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিনের রেজিস্ট্রি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। এতে যেমন সেবা প্রত্যাশীদের হয়রানি ও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তেমনি বিপাকে পড়েছে রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দলিল লেখকরা। সেই সাথে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। দীর্ঘ দিন ধরে এমন সঙ্কট চললেও তা নিরসনে উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
সাব রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে জানা যায়, কাজিপুরে উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নে ১৯২৩ সালে ৭ অক্টোবর সাব রেজিস্ট্রার অফিসটি প্রতিষ্ঠিত হয়।প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এই সাব রেজিস্ট্রার অফিসটি ভাড়া করা টিনসেড ঘরে কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।যার মাসিক ভাড়া ২৭ হাজার টাকা । অফিসটির কাঁচাপাকা টিনসেড হওয়ায় সরকারি রেকর্ডপত্র,দলিল সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছে। নেই আধুনিক কোন সুযোগ -সুবিধা। অপর অফিসটি উপজেলার সদরে ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা হয়।বিল্ডিং এর মাসিক ভাড়া ১৫ হাজার টাকা। দুটি অফিসে মাসিক ভাড়ার পরিমাণ মোট ৪২ হাজার টাকা। চাহিদা সম্পন্ন জনবল না থাকায় দুটি অফিসের কার্যক্রম চলছে বিকল্প উপায়ে। এছাড়া নকল নবিশ, পিয়ন, ওমেদার পদে জনবল সঙ্কট রয়েছে। দেশের অন্যান্য সাব- রেজিস্ট্রার অফিস আধুনিক ভবন পেলেও এখন পর্যন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি গান্ধাইল সাব রেজিস্ট্রার অফিসে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫ টি সপ্তাহের প্রতি রবি ও সোমবার গান্ধাইলে। বাকি ৭টি সপ্তাহের প্রতি বুধ ও বৃহস্পতিবারে সদর অফিসে জমি রেজিস্ট্রির কার্যক্রম চলে। কাজিপুর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের ২০২২-২৩ অর্থ বছরে আদায়কৃত রাজস্বের পরিমাণ গান্ধাইল অফিসে ২,৫৬,৬৩,৭৪৪ টাকা ও কাজিপুর সদর অফিসে ২,৩৬,৩৩,৬২৮ টাকা। মোট ৪,৯২,৯৭,৩৭২ টাকা । যা বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৮৬ লক্ষ টাকা বেশি।
কাজিপুর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো. আসিফ নেওয়াজ বলেন, দুটি অফিসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি সম্পাদন হলেও জনবল সঙ্কটে কাঙ্খিত রাজস্ব আয় অর্জনে ব্যাহত হচ্ছে। জনবল ঠিক থাকলে রাজস্ব আদায়ে কাঙ্খিত লক্ষ্য মাত্র চেয়ে বেশি অর্জন করা সম্ভব হবে। আধুনিক ভবন হলে সরকারি রেকর্ড পত্র ও দলিল সহ মূল্যবান কাগজ পত্র ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাবে।