নাগেশ্বরীতে সরকারি জমি দখল করে দোকান নির্মাণ
- কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
-
২০২৩-০৯-১৭ ১০:০৯:৪৬
- Print
নাগেশ্বরীর তালেবেরহাটের সরকারি খাস জায়গা অবৈধভাবে দখল করে পাকা বিল্ডিং দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে জহির উদ্দিন চক্রের বিরুদ্ধে। তালেবেরহাটের মুদি দোকানী ইন্দ্রিস আলী এই বিষয়ে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করে বিচার থেকে বঞ্চিতসহ পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের তালেবেরহাট এলাকার তালেব উদ্দিন গত ৯সেপ্টেম্বর ১৯৯৬সালে তার নিজ নামে হাট বাস্তবায়ন করতে সরকারের নামে সাড়ে ৪২শতক জমি লিখে দেয় এবং সেই থেকে তালেবেরহাটে স্থানীয়রা অস্থায়ী দোকান ঘর তুলে ব্যবসা করে আসছেন। তালেবেরহাটের সরকারি খাস জমিতে হতদরিদ্র ইন্দ্রিস আলী একটি মুদি দোকান দিয়ে কোনমতে পরিবার নিয়ে জীবন নির্বাহ করছেন। বর্তমানে তালেবেরহাট একটি গুরুত্বপূর্ণ হাট হিসেবে সফলতা অর্জন করে। তালেবেরহাট এলাকার জহির উদ্দিন চক্ররা তাদের স্বার্থ হাসিলে কিছুদিন থেকে ইন্দ্রিস আলীর মুদি দোকান উচ্ছেদের পায়তারা করাসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছেন। অতঃপর গত (২২আগস্ট ২০২৩খ্রিঃ) আনুমানিক রাত ৮টায় জহির উদ্দিনের নেতৃত্বে তমিজ উদ্দিন, আলতাফ হোসেন, ইয়াকুব আলী, ইব্রাহিম আলী, আইয়ুব আলী ও আব্দুল কাদের গংরা অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইন্দ্রিস আলীকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে তার মুদি দোকান বাঁশের ঘিরা দেয়। এরপর হতদরিদ্র ইন্দ্রিস আলী তার মুদি দোকান করতে না পারায় আর্থিকবাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে থাকে। উক্ত বিষয়ে এলাকায় একাধিকবার বৈঠক হলেও বিচার মানেনি জহির উদ্দিন চক্র। মুদি দোকানী ইন্দ্রিস আলী গত ১১সেপ্টেম্বর নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করে বিচার থেকে বঞ্চিতসহ পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
অপরদিকে জহির উদ্দিন চক্ররা ক্ষমতা দেখায়ে গত (২৩আগস্ট ২৩খ্রিঃ) থেকে সরকারের খাস জায়গায় একটি নতুন বিল্ডিং দোকান ঘর নির্মাণ করছেন। অভিযোগ রয়েছে জহির উদ্দিন গংরা সন্তোষপুর ইউনিয়নের তহশিলদারকে ম্যানেজ করে তার সহযোগিতায় তালেবেরহাটের সরকারের খাস জমিতে পাকা বিল্ডিং ঘর নির্মাণ শেষ করেছেন।
তালেবেরহাট এলাকার আফতার হোসেন, বাচ্চু মিয়া, গোলজার হোসেনসহ অনেকে বলেন, তালেবেরহাটের সরকারের খাস জমিতে হতদরিদ্র ইন্দ্রিস আলী একটি মুদি দোকান দিয়ে পরিবার চালাচ্ছেন। তালেবেরহাট এলাকার জহির উদ্দিন গংরা গত (২২আগস্ট) রাত ৮টায় ইন্দ্রিস আলীকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেখিয়ে তার মুদি দোকান বাঁশের ঘিরা দেয় এবং পরবর্তীতে ভেঙে দেয়। ফলে হতদরিদ্র ইন্দ্রিস আলী তার মুদি দোকান করতে না পারায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জহির উদ্দিন গংরা সন্তোষপুর ইউনিয়নের তহশিলদারের নিয়ন্ত্রনে সরকারের খাস জায়গায় একটি নতুন বিল্ডিং দোকান ঘর নির্মাণ শেষ করেছেন। সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
সরকারের খাস জমিতে ঘর নির্মাণকারী জহির উদ্দিনের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অভিযোগকারী ইন্দ্রিস আলী বলেন, দীর্ঘদিন থেকে তালেবেরহাটের সরকারের খাস জমিতে একটি মুদি দোকান দিয়ে পরিবার নিয়ে জীবন নির্বাহ করে আসছি। ভুমিদস্যু জহির উদ্দিন গংরা বর্তমানে আমার মুদি দোকান ভেঙে দিয়ে সন্তোষপুর ইউনিয়নের তহশিলদারকে ম্যানেজ করে সরকারের খাস জমিতে পাকা বিল্ডিং ঘর নির্মাণ শেষ করেছেন। আমি নাগেশ্বরী ইউএনও এবং বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও বিচার থেকে বঞ্চিত। সংশ্লিষ্ট উধ্বতর্ন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাওছার আহমেদ এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে নাই।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, আপনার কাছে অভিযোগের কথা শুনলাম। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।