বরগুনা বাস মালিক সমিতির সদস্য পদ পেতে সভাপতি গোলাম মোস্তফা কিচলু, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সগির হোসেন ও রাজ্জাক চৌকিদারসহ ছয়জনকে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা দেয় তিন বাস মালিক । টাকা নিয়েও মালিক সমিতি তাদের সদস্য পদ দেয়নি। টাকা ফেরত চাওয়ায় তারা প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন বাস গাড়ীর মালিক দীপংকর কুমার, আশরাফ আলী সিকদার ও মীর শহিদুল ইসলাম। তারা আরো অভিযোগ করেন বরগুনা বাস মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ছয়জনের প্রাণ নাশের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ প্রশাসনকে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মীর শহীদুল ইসলাম দুলাল বলেন, আমার, দীপংকর কুমার নন্দি ও আশরাফ আলী সিকদারের তিনখানা বাস গাড়ী আছে। ওই গাড়ীগুলো বরগুনা মালিক সমিতির অর্ন্তভুক্ত করতে এবং সদস্য পদ পেতে ২০১৬ সালে আমরা আবেদন করি। বরগুনা জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা কিচলু, সাধারণ সম্পাদক সগির মিয়া, সদস্য হাসান মৃধা, আব্দুর রাজ্জাক ও স্বজল মৃধা আমাদের কাছে সমিতির সদস্য পদ পেতে গাড়ী প্রতি ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। তাদের দাবীকৃত ৩০ লক্ষ টাকা আমরা তিনজনে দিয়ে দেই। তারা সমিতির সদস্য পদ না দিয়ে দীপংকর কুমার (গাড়ী নম্বর ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৪৮৪৬) লিখিত অস্থায়ী এবং আশরাফ আলী সিকদার (গাড়ী নম্বর ঢাকা মেট্রো-জ-০৪-০২৫৬) ও মীর শহিদুল ইসলাম (গাড়ী নম্বর পটুয়াখালী-জ-১১-০০২১) মৌখিকভাবে আমতলী-তালতলী সড়কে চলাচলের অনুমতি দেয়। কিছুদিন গাড়ী চলাচল করলেও মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ছয়জনে পুনরায় গাড়ী প্রতি দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। এ টাকা দিতে আমরা অস্বীকার করলে তারা আমাদের গাড়ীগুলোর সড়কে চলাচলের প্লাই বন্ধ করে দেয়। গাড়ী চলাচল বন্ধ থাকায় গাড়ীগুলোর যন্ত্রাংশ অকেজো হয়ে গেছে এবং আমাদের মালিক সমিতির সদস্য পদও দেয়নি। আমাদের দেয়া টাকা মালিক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য সদস্যগণের কাছে ফেরত চাইলে তারা আমাদের প্রাণ নামের হুমকি দিচ্ছে। তাদের অব্যহত প্রাণ নাশের হুমকিতে আমরা পালিয়ে বেড়াচ্ছি। প্রাণ রক্ষা ও টাকা ফেরত পেতে পুলিশ প্রশাসনকে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তারা। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন দীপংকর কুমার ও আশরাফ আলী সিকদার।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক গ্রুপ সভাপতি গোলাম মোস্তফা কিসলু টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, বাস মালিক গ্রুপের সিদ্ধান্ত অনুসারে তাদের নেয়া হয়নি।