১১-১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) দুই দিনব্যাপী ‘জাতীয় এসআরএইচআর কনফারেন্স ও যুব/কৈশোর মেলার আয়োজন করে। যুব ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য নিশ্চিত হোক যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে মেলার উদ্বোধন করেন শহীদজায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী। বিএনপিএস’র নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীরের সভাপতিত্বে ১১ সেপ্টেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন সিবিএইসসি ট্রাস্ট ও বিএমআরসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।
বিএনপিএস’র উপ-পরিচালক শাহনাজ সুমীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ফাস্ট সেক্রেটারী এনজিকো লরেনজো, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের পলিসি অ্যাডভাইজার মুশফিকা জামান সাতিয়ার, কেএমকেএস’র নির্বাহী পরিচালক শেফালী কা ত্রিপুরা, সিমাভি বাংলাদেশের অফিসার তুহীন সরকার প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত আহ্বান জানান।
কৈশোরবান্ধব স্কুল ও নারীবান্ধব হাসপাতাল গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, সমাজের প্রচলিত ট্যাবু ও কুসংস্কার প্রথা ভেঙে নারী ও কিশোরীদের এগিয়ে যেতে হবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সিলেবাসে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সচেতনতা বাড়াতে সরকার, রাজনীতিবিদ, সিভিল সোসাইটি, শিক সমাজ ও পরিবারকে যুক্ত করতে হবে।গ্রাম পর্যায়ে কমিউনিটি কিনিকসহ সকল হাসপাতালকে নারীবান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে। অনুষ্ঠানে ডা. সৈয়দ মোছাচ্ছের আলী বলেন, সমাজের মূলধারা থেকে যারা বাইরে রয়েছে, বিশেষ করে নারী সমাজকে হাতে হাত ধরে এগিয়ে নিতে হবে। নারী সমাজে পেছনে রেখে রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, স্কুলে সবচেয়ে বেশি যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য প্রজনন বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া দরকার। কিন্তু স্কুলে এসব বিষয়ে পাঠদানে অনাগ্রহী শিক্ষকরা। সমাজ ও পরিবারের মাঝে একই ধরনের অনগ্রসর রয়েছে। এটা এক ধরনের চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরো বলেন, শুধু হাত মেলালে চলবে না। বক্তারা সমাজের প্রচলিত কুসংস্কার ভেঙে নারী ও যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে সরকার, রাজনীতিবিদ, শিক্ষকসমাজ এবং পরিবারকে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানান। তারা বলেন, রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে নারী পুরুষ সমানভাবে এগিয়ে যেতে হবে। নারীদের পেছনে ফেলে কোনোভাবে রাষ্ট্র এগিয়ে যেতে পারে না।