ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগিতায় গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশি বায়োটেকনোলজিস্টস (জিএনওবিবি), বাংলাদেশ বায়োসেফটি অ্যান্ড বায়োসিকিউরিটি সোসাইটি (বিবিবিএস) এবং ফেডারেশন অব এশিয়ান বায়োটেক এসোসিয়েশনস (এফএবিএ)-এর যৌথ উদ্যোগে ‘কৃষি ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জীবপ্রযুক্তি’ শীর্ষক ৫ম আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষ হচ্ছে আজ। সমাপনী দিনে বিশেষ আয়োজনে থাকবে জীবসুরক্ষা ও জীবনিরাপত্তা আলোচনা ।
এর আগে ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সম্মেলন শুরু হয়। ১-৩ সেপ্টেম্বর ৩ দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
সম্মেলনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরফুদ্দিন আহমেদ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, বিবিবিএস-এর সভাপতি ড. চন্দন কুমার রায়, এফএবিএ-এর সভাপতি ড. আসাদুল গণি এবং জিএনওবিবি-এর সভাপতি অধ্যাপক ড. জেবা ইসলাম সেরাজ বক্তব্য রাখেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এই সম্মেলনের সফলতা কামনা করে বলেন, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মানুষের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন এবং টেকসই কৃষি ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও কঠোর নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। নিরাপদ ও উন্নত সমাজ বিনির্মাণে সকল ক্ষেত্রে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ চর্চার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। করোনা মহামারি, ডেঙ্গুসহ স্বাস্থ্যখাতে বিভিন্ন ধরণের ঝুঁকি মোকাবেলায় জৈব প্রযুক্তির উন্নয়নে মৌলিক গবেষণা পরিচালনা করার জন্য শিক্ষক, গবেষক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান।
সম্মেলনে গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশি বায়োটেকনোলজিস্টসের প্রতিষ্ঠাতা এবং কিংবদন্তি জীবপ্রযুক্তিবিদ অধ্যাপক ড. আহমেদ শামসুল ইসলামের কর্মময় জীবনের উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সম্মেলনে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করছেন।
উদ্বোধনী পর্বের পর মূল মিলনায়তনে প্লেনারি (Plenary) সেশনে উন্নততর ম্যাপিং বিষয়ে মার্কিন বিজ্ঞানী রড উইং বক্তব্য উপস্থাপন করেন। (Personalised Medicine) ব্যক্তিকেন্দ্রিক ঔষধ এবং অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বিষয়ের উপস্থাপনা করেন যথাক্রমে ড.অজিত ভি কামাথ ও ড. আসাদুল গণি। এরপর যুগপৎ মূল হল ও এক তলার সেমিনার হলে দেশের নানা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা তাদের কাজ উপস্থাপন করেন। দুপুর ২টা–থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে ১৬৪ সংখ্যক পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন ছিলো।
সম্মেলনের ২য় দিন গবেষণায় বিশেষ অবদান রাখায় দেশে এবং প্রবাসী এবং দেশে অবস্থানকারী ৪জন বিজ্ঞানীকে পুরস্কৃত করা হয়। তাঁরা হলেন- ড. মোহাম্মদ তোফাজ্জল ইসলাম, ড. হাসান জাকি, ড. মির্জা হাসানুজ্জামান ও ড. মো. আরিফুর রহমান। বিজ্ঞানীরা তাদের সারগর্ভ বক্তৃতা প্রদান করবেন।