সমুদ্র পথে ইতালি যাওয়ার সময় নৌকাডুবে নরসিংদীর ৭ যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। সম্প্রতি দালালের মাধ্যমে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাতে তাদের নিখোঁজের খবর বাড়িতে পৌঁছায়। নিখোঁজ প্রত্যেকেই নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বাসিন্দা।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন-বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের কাঙ্গালিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মোখলেছুর রহমান (২০), একই এলাকার মৃত হাছেন আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন কামাল (২৫), ভাটের চর গ্রামের হাসান উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা (২২), দুলালকান্দি গ্রামের হারুন রশিদের ছেলে মনির হোসেন (২২), একই এলাকার আ. মোতালিব মিয়ার ছেলে রবিউল (৩৩), টান লক্ষ্মীপুর গ্রামের মহরম আলীর ছেলে স্বাধীন মিয়া (২০) ও নিলক্ষিয়া গ্রামের আমান মিয়া (২১)।
নিখোঁজ কামাল মিয়ার ছোট ভাই জামাল মিয়া জানান, নিখোঁজরা ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা খরচ করে দুলাল কান্দি গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন এবং নুর কাসেমের স্ত্রী শাহিনুরের (জাকিরের ফুপু) মাধ্যমে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ৫-৬ মাস আগে দেশ ছাড়েন। বেশ কিছুদিন গেম ঘরে রেখে গত বুধবার রাত ৮টার দিকে ডিঙি নৌকায় তুলে ইতালির পথে যাত্রা করেন। কিন্তু ৪০ মিনিট পর ডিঙি নৌকা ডুবে যায়।
জাকিরের তত্ত্বাবধানে ২০ জন থেকে ১২ জন ফিরে আসলেও সাতজন নিখোঁজ রয়ে যায়। এ তথ্য দালাল জাকির হোসেন স্থানীয় মিলন মেম্বারের মাধ্যমে আমাদের জানায়। এর মধ্যে আমার ভাইও নিখোঁজ।
এদিকে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ হওয়ার খবরে দালাল জাকির হোসেন ও শাহিনুরের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
তাদের পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে তালা দিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে।
এ বিষয়ে দুলালকান্দি গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য মিলন মেম্বার জানান, নিখোঁজের খবর পেয়ে দালাল জাকিরের সাথে যোগাযোগ করি। তখন অন্য একজন রিসিভ করে আমাকে জানান, জাকির হোসেনের আন্ডারে ২০ জনের থেকে ১২ জন উদ্ধার হলেও সাতজনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তানভীর আহমেদ বলেন, বিষয়টি লোক মুখে শুনেছি। এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি।
এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা জান্নাত তাহেরা বলেন, নিখোঁজের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। নিখোঁজের বিষয় জানতে প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।