ঢাকা মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
কুড়িগ্রামে জনসাধারণের নিরাপত্তায় রংপুর রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ এসপির সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ
  • এম এস সাগর, কুড়িগ্রাম:
  • ২০২৩-০৮-০৯ ০৪:৫৩:০৩

বাংলাদেশে পুলিশের গর্ব ও কুড়িগ্রাম জেলার সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ে দীপ্তিময় আলো ছড়াচ্ছেন কুড়িগ্রাম গণমানুষের মানবিক পুলিশ সুপার ও রংপুর রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ এসপি আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম। একজন সত্ত্বাযুক্ত, দক্ষ ও মানবিক পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান পর থেকেই সকল মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম গত (ফেব্রুয়ারী ২০২৩খ্রিঃ) মাসে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ এবং প্রশংসনীয় কর্মকান্ডের স্বীকৃতি স্বরূপ রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গত (২৮মার্চ ২০২৩খ্রিঃ) বাংলাদেশ পুলিশ, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ বিপিএমের সভাপতিত্বে সামগ্রিক কর্ম মূল্যায়নে শ্রেষ্ঠ জেলা কুড়িগ্রাম ও শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপারের গৌরব অর্জন করায় তাকে পুরষ্কার প্রদান করে।

মাননীয় সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি মহোদয়ের প্রত্যয় 'স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১' রূপকল্প বাস্তবায়নে 'স্মার্ট পুলিশ' অভিপ্রায়ে দুর্বার গতিতে কুড়িগ্রামের জনসাধারণের টেকসই নিরাপত্তা ও শান্তি সুনিশ্চিত করতে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছেন এবং নাগরিকদের অধিকতর বেগবান হয়ে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে পুলিশ সদস্যদের অভ্যন্তরীন শৃঙ্খলা, দক্ষতা, পেশাদারিত্ব, কল্যাণের নিমিত্তে ও সরকার কর্তৃক প্রদেয় বিভিন্ন পদস্তরের বিভিন্ন ক্যাটাগরির মালামালের যথাযথ ব্যবহারের লক্ষ্যে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের প্রতি মাসে "মাসিক কিট প্যারেড" অনুষ্ঠিত করে আসছেন পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের সবচেয়ে দারিদ্র-পীড়িত ও ১৬টি নদ-নদী বেষ্টিত, নদী-ভাঙন, বন্যাকবলিত, সীমান্তঘেষাঁ এবং ৪শত ৫০টি চরাঞ্চল, বিভিন্ন শহর, বন্দর, গ্রাম জেলা কুড়িগ্রাম। কুড়িগ্রাম জেলার আইন-শৃঙ্খলা উন্নতি করণে নাগরিকদের দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ, সংগত অপরাধ দমন নয়, তদন্ত পুর্বক অপরাধ নিয়ন্ত্রণসহ জেলা পুলিশকে গণমুখী, জনবান্ধব ও পুলিশের কল্যাণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন জেলা পুলিশ সুপার। আইনগত পরিকাঠামো এবং জনবল ও পলিশ ইকুইপমেন্টের সীমাবদ্ধতার মাঝেও এসব উদ্যোগ নিঃসন্দেহে পুলিশের ভূমিকাকে আরও উজ্জ্বল করছে এবং পুলিশের প্রতি জনসাধারণের আস্থা সংকট কাটিয়ে পুলিশ-জনতা সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় পুলিশকে জনমুখী ও জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিটি থানার প্রত্যন্ত এলাকাতে পুলিশের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করাসহ থানার পুলিশি সেবা জনগণের একেবারে দোরগোড়ায় পৌঁছানো এবং পুলিশের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও গণমুখী করার লক্ষ্যে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে চলমান রয়েছে বিট পুলিশিং কার্যক্রম। বিটপুলিশিং কার্যক্রমের সেবা পেতে সকল কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন বিট পুলিশ অফিসারদের পদবী ও মোবাইল নাম্বার সহজে পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশ ট্রাফিক বিভাগের সেবা পেতে বাস কাউন্টার, টার্মিনাল ও যাত্রীদেরজ পুলিশী সেবা নিশ্চিত করতে দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার ও জরুরী সেবা দিচ্ছেন। প্রতিটি থানায় চালু করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ও নারী-শিশু হেল্প ডেস্কসহ বৃদ্ধ পিতা মাতা এবং বুদ্ধি প্রতিবন্ধি হেল্প ডেস্ক। মডেল থানাগুলোতে হেল্প ডেস্ক কার্যক্রম চালু আছে। ইতিমধ্যে মাদক জঙ্গী ও নারী শিশু নির্যাতন, বিভিন্ন অপরাধ প্রতিরোধসহ ডিবি, ডিএসবি অফিসার, সদস্য ও সকল থানার অফিসার ইনচার্জ এবং চৌকশ পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে সঠিকভাবে সর্বদা জনসাধারণের নিরাপত্তা, আইনী সহায়তা প্রদানসহ নিয়মিতভাবে মাদক বিক্রেতা-সেবনকারী এবং বিভিন্ন অপরাধের সাথে জ্বড়িতসহ ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীদের গ্রেফতার করতে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার বাজারগুলোর চুরি/ডাকাতি ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটির সাথে জেলা পুলিশের আলোচনার মাধ্যমে সিসিটিভি স্থাপন চলমান। এছাড়াও বাজার নৈশপ্রহরীদের মানোন্নয়নে পুলিশ কাজ করছে।

কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণ আব্দুল মালেক, মামুন, বাবু, মাইদুল ইসলামসহ অনেকে জানায়, পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম কুড়িগ্রামে যোগদানের পর থেকে তার তত্ত্বাবধানে আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আন্তরিকতার সাথে আইনি সহায়তা প্রদান করছেন। থানা প্রশাসনের মাধ্যমে আইনী সহায়তা ও মাদক, জুয়াখেলা নির্মূলে কঠোর অবস্থানে থেকে অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের মনে আস্থা অর্জন করছেন।

কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতিমধ্যে সবুজ করি কুড়িগ্রাম কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ৩০হাজার চারাগাছ বিতরণ করেছি পাশাপাশি থানায় আগত সেবাগ্রহীতা, জেলখানা থেকে জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী ও সফল প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত নাগরিক, সংবাদিকসহ বিভিন্ন মানুষের মাঝে চারাগাছগুলো বিতরণ করে আসছি এবং থানা এলাকার রাস্তার পাশে চারাগাছ রোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচর্যা অব্যাহত রেখেছি। যারা প্রকৃতির সাথে, প্রকৃতিকে নিয়ে Neuro-balanced being হিসাবে জীবন যাপন করে তারা অপরাধ প্রবণ হয়না। গাছ লাগানো, বইপড়া ইত্যাদি ইতিবাচক অপশনসমূহকে শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারলে নেতিবাচক কাজসমুহ যেমন মোবাইল আসক্তি, জুয়া, নেশা আসক্তি কমে যাবে।

পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম আরও জানান, সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রত্যয়ে 'স্মার্ট পুলিশ' অপরাধ ও মাদক নির্মূলে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। কুড়িগ্রামে জমিজমা, প্রেম-পরকীয়া, অপহরণ, যৌতুক ও মাদক সংক্রান্ত মামলা বিষয়ে নাগরিকদের সময়, অর্থব্যয়, ভিজিট কমাতে এবং একই সাথে মামলা সংক্রান্তে রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয় করতে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ মাসিক ভিত্তিতে চালু করেছে ‘ক্রাইম প্রিভেনশন ক্লিনিক’। জেলায় মাদক নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করা হয়েছে। সমাজের শান্তি সুনিশ্চিত করতে সতত কাজ করছে পুলিশ। ইতিমধ্যে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনার তদন্তে সফলতার নজিরও স্থাপন হয়েছে।

পুলিশের অসাদাচরনের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 শিশু রুকাইয়া রহমান আনহাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
নীলফামারীর চিলাহাটিতে পেকিন হাঁস  পালন বিষয়ক খামার দিবস অনুষ্ঠিত