রাজশাহীর দুর্গাপুরে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরধরে একটি পানবরজে হামলা অভিযোগ উঠছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
এতে বরজের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত ৬আগষ্ট রোববার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর উপজেলার গোপালপুর সোনালপাড়ায় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৭ আগষ্ট ভুক্তভোগী পানবরজের মালিক ফেরদৌস আলী এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ক্ষতিগ্রস্ত পানবরজ পরিদর্শন করেছে থানার পুলিশ।
থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ৩৫ বছর ধরে গোপালপুর সোনালপাড়া এলাকায় ১৬ শতাংশ জায়গা ভোগদখল করে আসছিলেন একই গ্রামের ফেরদৌস। বর্তমানে ওই জমিতে পানবরজ রয়েছে। হঠাৎ করে ওই পানবরজে পাশের শিবপুর গ্রামের সেলিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি তাঁর কিছু অংশ রয়েছে বলে দাবি করেন। এ নিয়ে গ্রামে একাধিক বার সালিশ বৈঠকে রায় প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু গ্রাম্য সালিশের সেই রায় মানেন নি সেলিম। গত রোববার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে সেলিম ও তাঁর চাচাতো ভাই কামাল, জামাল ও চাচা সোবাহান এবং রমজান সহ দলবল সঙ্গে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া, কুড়াল নিয়ে পানবরজে হামলা চালায়। এ সময় পানবরজ কুপিয়ে পানগাছ, লগড় ও ওয়াশি বাঁশ তছনছ করে দেয়। ঘটনায় ভুক্তভোগী ফেরদৌসের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
ভুক্তভোগী ফেরদৌস বলেন, তাঁর পুরো বরজে পানে ভর্তি ছিল। লোন ও দেনা করে পানবরজটি গড়ে তুলেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে প্রতিপক্ষের লোকেরা হামলা চালিয়ে তাঁর পানবরজটি একেবারে তছনছ করে দিয়েছেন। এতে তাঁর ১০লাখ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, ৩৫ বছরধরে শ্বশুরের দেওয়া জমিটি ভোগদখল করে খাচ্ছিলাম। হঠাৎ পাশের গ্রামের সেলিম নামের এক ব্যক্তি সেই জমিতে তাঁর অংশ রয়েছে বলে দাবি করেন। এ নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশ হয়েছে। কিন্তু গ্রাম্য সালিশের সেই রায় তিনি মানেন নি। উল্টো পানবরজে হামলা করে বরজটি লন্ডভন্ড করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে শিবপুর গ্রামের সেলিম উদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কলটি কেটে দেন।
জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিজয় বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত পানবরজ পদির্শন করেছি। বরজের পানগাছ, লগড় ও ওয়াশি উপড়ে ফেলা হয়েছে। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনই বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।