ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্ব বন্টন এবং দায়িত্বে অবহেলায় দুই চিকিৎসকের বেতন বন্ধ রাখার জেরে তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগ উঠেছে তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামানের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
এছাড়া হাসপাতালের চিকিৎসকরা তত্ত্বাবধায়ক ওয়াহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে অসন্তোষ জনাতে সকালের ঘটনার পর মিটিং করেণ এর ফলে অন্তত এক ঘণ্টা হাসপাতালে রোগী দেখা বন্ধ ছিল। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ রোগীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, সকালে চক্ষু বিভাগের চিকিৎসক ওবায়দুল হকসহ তিনজন চিকিৎসক এসে তিনদিন বহির্বিভাগে রোগী দেখবেন এবং বাকি তিনদিন বৈকালিক সেবা দেবেন বলে জানান। কিন্তু বহির্বিভাগ বন্ধ থাকলে রোগীরা চিকিৎসক না পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করবেন জানালে ওই তিন চিকিৎসক তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে কক্ষের দরজায় লাথি দিয়ে বের হয়ে যান তারা। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে চলতি মাস থেকে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রানা নূরুস শামস ও ফাইজুর রহমানের বেতন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে তারা ক্ষুব্ধ ছিলেন। পরে আজ সকালের ঘটনার জেরে রানা নূরুস শাস, ফাইজুর রহমান এবং ওবায়দুল হক দ্বিতীয়বার এসে আবার অসদাচরণ করে তত্ত্বাবধায়কের কোনো নির্দেশনা মানবেন না বলে জানান।
এ বিষয়ে ডা. রানা নূরুস শামস বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে ডা. ফাইজুর রহমানের অভিযোগ, ডা. ওয়াহিদুজ্জামান সব চিকিৎসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সেজন্য এখন থেকে কেউ তার নির্দেশনা মানবেন না।