ঝিনাইদহের শৈলকুপাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী নাজমা খাতুনকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী রইচ মন্ডল পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গভীর রাতে উপজেলার পদমদি স্ত্রীরের বাবার বাড়িতে। নিহত নাজমা খাতুন ঐ গ্রামের মৃত ইজাহার শেখের কন্যা ও পার্শ্ববর্তি চর ত্রিবেনী গ্রামের রইচ মন্ডলের স্ত্রী। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের স্বজনেরা জানান, নাজমা খাতুনের স্বামী রইচ মন্ডল গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে স্বামী-স্ত্রী পদমদি গ্রামে বেড়াতে আসেন। পুর্বের পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী রইচ উদ্দিন তার শসুড় বাড়িতে স্ত্রীরের সেবা-যত্ন করে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনা আজ সোমবার ভোরে স্থানীয় প্রতিবেশিরা নাজমার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, শৈলকুপার পদমদি গ্রামের বাবা বাড়ি থেকে গলাকাটা নাজমার মরদেহ উদ্ধার করে ময়ণাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্বামী এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে তিনি নিশ্চত করেন। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে। থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।