ঢাকা মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
নাগেশ্বরী-ভুরুঙ্গামারীতে ৪দশকে ১৬কিলোমিটার নদীর দখলমুক্ত ও অস্তিত্ব ফিরেছে
  • কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
  • ২০২৩-০৭-৩১ ০৫:৪৭:০২

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারীতে প্রবাহিত গিরাই নদী ও মরা শংকোষ ১৬কিলোমিটার ৪দশক পর পুনঃ খনন শেষ হওয়ায় দখলমুক্ত ও অস্তিত্ব ফিরেছে এসব নদীর। পুনঃ খননের ফলে গিরাই নদী ও মরা শংকোষের দুই পাড়ের ফসলি জমি পাচ্ছে সেচ সুবিধা ও বাড়ছে দেশীয় মাছের উৎপাদন। খালগুলো দিয়ে পানি প্রবাহ ফিরে আসায় বন্যার প্রকোপ কমে আসছে আর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে ও কৃষিজমিতে ফসল চাষে কৃষকরা হয়ে উঠছে সাবলম্বী।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদ সফল সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী তার তত্ত্বাবধানে বিএমডিএর রংপুর সাকের্লের "ইআইআর" প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান খানের নিরলস প্রচেষ্টায় নাগেশ্বরী বিএমডিএ সহকারী প্রকৌশলীর মাহাবুর আলমের পর্যবেক্ষণে নাগেশ্বরীর সন্তোষপুর ইউনিয়নের গিরাই নদী ৮.৩৩কিলোমিটার ১৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩কোটি ৭৫লাখ টাকা এবং ভুরুঙ্গামারী উপজেলার চর ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নে মরা শংকোষ ৬.৯০কি‌লো‌মিটার ৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১কোটি ৫০লাখ টাকা বরাদ্দে পুনঃ খনন কাজ শেষ হয়েছে। এসব খাল পুনঃ খনন শেষ হওয়ায় পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে দুই পাড়ের ফসলের জমি পাচ্ছে সেচ সুবিধা ও অতি বৃষ্টি-বন্যায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে এবং সঞ্চিত পানিতে হাঁস ও মাছ চাষসহ গৃহস্থলীসহ কৃষি কাজে ব্যবহার করে অনেকে সাবলম্বি হয়ে দাঁড়াতে পারছে। দীর্ঘদিন ধরে খালগুলো অবৈধ দখল ও পলি পড়ে ভরে যায় আর উক্ত খালে খনন কাজ শেষ করায় খুশি স্থানীয়রা। এছাড়াও গত অর্থবছর বোয়ালের দাঁড়া হতে মোয়ামারী হয়ে বেরুবাড়ী সুইচ গেট পর্যন্ত ৬কিলোমিটার পুনঃ খাল খনন হওয়ায় কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধিসহ এলাকার মানুষ পেয়েছে খাল খননের সুবিধা।

নাগেশ্বরীর সন্তোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ লিয়াকত আলী ব্যাপারী লাকু বলেন, সফল সরকারের সফল উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। গিরাই নদী ৮.৩৩কিলোমিটার পুনঃ খনন শেষ হওয়ায় নদীতে পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দুই পাড়ের ফসলের জমি পাচ্ছে সেচ সুবিধা ও বৃষ্টি-বন্যায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। কৃষকরা পাচ্ছে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা।

চর ভুরুঙ্গামারী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মানিক উদ্দিন ও স্থানীয় মজিবর রহমান, হযরত আলীসহ অনেকে বলেন, মরা শংকোষ খাল পুনঃ খনন কাজ শেষ হওয়ায় এবারে বন্যার পানির জলাবদ্ধতা থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। জমিতে সেচ দিয়ে ফসল চাষাবাদ করার পাশাপাশি হাঁস ও মাছ চাষ করাসহ বিভিন্ন উন্নতি হচ্ছে।

ঠিকাদার মনোয়ার হোসেন লিটন ও মোসলেম উদ্দিন বলেন, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নাগেশ্বরী গিরাই নদী ও ভুরুঙ্গামারীর মরা শংকোষ খাল পুনঃ খনন কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বিধি মোতাবেক শেষ করেছি।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নাগেশ্বরী উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে খালগুলো পলি পড়ে মজাভরে যাওয়া এ খাল পুনঃ খনন কাজ শেষ হয়েছে। খনন শেষ হওয়ায় স্থানীয়রা এর সুফল পাচ্ছেন।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষ রংপুর সার্কেলের-ইআইআর প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান খান বলেন, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারীতে গিরাই নদী- মরা শংকোষ খাল পুনঃ খনন কাজ শেষ হয়েছে। খনন শেষ হওয়ায় খালে পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে ও বৃষ্টি বন্যায় পানি সহজেই নেমে যাচ্ছে ফলে জলাবদ্ধ দূর হয়ে কৃষিজমি চাষাবাদের উপযোগী হয়েছে এতে করে কৃষকরা অনেক সুফল পাচ্ছে।

রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদ বলেন, সফল সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রান্তিক কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এসব খাল পুনঃ খনন চলছে। পর্যায়ক্রমে আরো অন্যান্য মজা খালগুলি পূনঃ খনন করা হবে বলে জানান তিনি।

রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে আর কৃষকের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে দীর্ঘদিন ধরে খালগুলো অবৈধ দখল ও পলি পড়ে ভরে যাওয়ায় বিএমডিএর মাধ্যমে খালগুলো পুনঃ খনন কাজ শেষ হয়েছে। বৃষ্টি-বন্যায় পানি নিষ্কাশন এবং সঞ্চিত পানিতে হাঁস ও মাছ চাষসহ গৃহস্থলীসহ কৃষি কাজে ব্যবহার করে অনেক কৃষক সাবলম্বি হবে।

পুলিশের অসাদাচরনের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 শিশু রুকাইয়া রহমান আনহাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
নীলফামারীর চিলাহাটিতে পেকিন হাঁস  পালন বিষয়ক খামার দিবস অনুষ্ঠিত