দিনাজপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী প্রভাস চন্দ্র রায় (৪০) মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও আরোও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন ওই বিচারক।
সোমবার দুপুর ১২ দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত এর বিচারক যাবিদ হোসেন এই আদেশ দেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী দিনাজপুর সদর উপজেলার মাধবপুর চিরাকুঠিপাড়া গ্রামের লালু চন্দ্র রায়ের পুত্র প্রভাত চন্দ্র রায়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালে আসামী প্রভাত চন্দ্র রায় ও ববিতা রানীর বিয়ে হয়। বিয়ের পরে আসামী নেশা কারে স্ত্রীর উপর প্রায়ই নির্যাতন করতো।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে দিনাজপুর সদর উপজেলার মাধবপুর চিরাকুঠিপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ীতে স্বামী প্রভাত চন্দ্র রায় শাবলের ধারালো দিক দিয়ে স্ত্রী ববিতা রানীর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। ববিতা রানী মাটিতে পড়ে গেলে আসামী প্রভাত চন্দ্র স্ত্রীর গলাটিপে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে ববিতার ভাই বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম রবি জানান, আসামী প্রভাত চন্দ্র রায়ের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সাক্ষপ্রমানসহ সব বিবেচনা করে বিজ্ঞ আদালত মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ ন্যায় বিচার দিতে সক্ষম হয়েছে বলে মানে করেন এই আইনজীবী।
আসামিপক্ষে উকিল এডভোকেট খলিলুর রহমান বলেন এই আদালতে আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। অবশ্যই উচ্চ আদালতে যাব সেখানে গেলে আমার মক্কেল ন্যায় বিচার পাবে আশা করছি।