দিনাজপুরে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় পদযাত্রায় যোগদান করতে আসা গাড়ি বহরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের সামনে হামলা ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির অভিযোগ হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এই হামলা করেছে ।
বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি গাড়ি। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত থেমে থেমে এ সংঘর্ষ চলে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুর ২টার দিকে দশমাইল হতে ব্যানার-ফেস্টুনসংবলিত ১০টি বাস দিনাজপুরে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় পদযাত্রায় আসার পথে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পৌঁছালে নেতা-কর্মীরা হাত উঁচিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী তাঁদের গাড়িতে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরে গাড়ি থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নামলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ঘটনা নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা পুলিশ ও কোতোয়ালি থানা-পুলিশের দুটি দল বাঁশেরহাট এলাকায় অবস্থান নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন,গাড়িতে যাওয়ার সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা অশ্লীল গালিগালাজ করে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিল। তাদের থামিয়ে বুঝিয়ে বলা হয়েছে। কিন্তু পরে তারা চড়াও হয়েছে ছাত্রদের ওপরে।
গাড়ী বহরে থাকা বিএনপির কমী সোহবার হোসেন বলেন , ঠাকুর থেকে ছেড়ে আসা ১০ টি বিএনপি নেতাকমীর রেজাভ কয়েকটি বাস হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাকমীরা অতকিত ভাবে বাসে হামলা
চালিয়ে বাস ভাংচুর করে । এ সময় ছাত্রলীগ কমীরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়েই হামলা চালায় । এ সময় অন্তত ৪০/৪২ জন নেতাকমী আহত হয়েছে । এই হামলা কোতয়ালী থানার ওসির প্রত্যক্ষ মদদে হয়েছে ।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশ ও কোতোয়ালি থানার পুলিশের দুটি প্রতিনিধিদল বাঁশেরহাট এলাকায় এসে বিকেল সোয়া চারটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিএনপির পদযাত্রায় সমাবেশে প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ৫০৬০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।