সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের নলতা হাইস্কুলের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান শিক্ষকসহ ৫ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কালিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন শিক্ষক আটক রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন আরো একজন শিক্ষক। এদিকে, এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
মামলার আসামীরা হলেন, নলতা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোনায়েম হোসেন, সহকারী শিক্ষক অবকাশ চন্দ্র মন্ডল, মনিরুল ইসলাম, মহিদুল ইসলাম মহিদ এবং সিদ্ধার্থ দাশ।
নলতা হাইস্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্র প্রতাপ রাজ মৃত্যুর ঘটনার পর গতকাল রবিবার (১৬ জুলাই) বিকেলে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ প্রধান শিক্ষক মোনায়েম হোসেনসহ পাঁচ শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এক শিক্ষককে মুচালিকা নিয়ে রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয় এবং প্রধান শিক্ষকসহ অপর ৪ জনকে থানায় আটক রাখা হয়। এরপর রাতে এ ঘটনায় নিহত ছাত্রের বাবা দ্বীনবন্ধু দাশ বাদী হয়ে ৫ জন শিক্ষকের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় প্রধান শিক্ষক মোনায়েম, সহকারী শিক্ষক অবকাশ, মহিদ ও সিদ্ধার্থকে আটক দেখানো হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় পলাতক রয়েছেন সহকারী শিক্ষক মনিরুল ইসলাম।
এদিকে, প্রতাপ রাজের মুত্যুর ঘটনায় (১৭ জুলাই) সকাল থেকে কালিগঞ্জ উপজেলা ব্যাপী থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নজরদারীতে রেখেছে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মামুন রহমান জানান, অপরাধী যেই হোক যথাযথ ভাবে তদন্ত করে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে। তবে অহেতুক কাউকে হয়রানী করা হবে না।
উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার (১৬ জুলাই) বিকালে রাজ প্রতাপ স্কুলের নিয়ম ভেঙে কয়েকজন বন্ধুদের নিয়ে জন্মদিন পালন করছিল। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক অবকাশ সরকার, সিদ্ধার্থসহ কয়েকজন শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ডেকে নিয়ে মারপিট করেন। এরপর প্রতাপ বাড়ি গিয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তাকে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা স্কুলের আসবাবপত্র ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করে এবং শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে।