ঢাকা মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারীতে ৪ দশক পর খননে প্রাণ ফিরছে নদীর
  • কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
  • ২০২৩-০৭-১৭ ০৩:৪১:৩২

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারীতে মৃতপ্রায় গিরাই নদী- মরা শংকোষ ১৬কিলোমিটার ৪দশক পর পুরঃ খনন হওয়ায় প্রাণ ফিরছে এসব নদীর। খননের ফলে খালের দুই পাড়ের ফসলি জমি পাচ্ছে সেচ সুবিধা ও বাড়ছে দেশিও মাছের উৎপাদন। খালগুলো দিয়ে পানি প্রবাহ ফিরে আসায় বন্যার প্রকোপ কমছে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে ও কৃষিজমিতে ফসল চাষে কৃষকরা হয়ে উঠবে সাবলম্বী।

জানা গেছে, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) ভূ-পরিস্থ পানি সর্বোত্তম ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ (ইআইআর) প্রকল্পের আওতায় নাগেশ্বরী বিএমডিএ সহকারী প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে নাগেশ্বরীর সন্তোষপুর ইউনিয়নের গিরাই নদী ৮.৩৩কিলোমিটার ১৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩কোটি ৭৫লাখ টাকা এবং ভুরুঙ্গামারী উপজেলার চর ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নে মরা শংকোষ ৬.৯০কি‌লো‌মিটার ৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১কোটি ৫০লাখ টাকা বরাদ্দে পুনঃ খনন কাজ শেষ হয়েছে। এসব খাল খনন শেষ হওয়ায় পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে দুই পাড়ের ফসলের জমি পাচ্ছে সেচ সুবিধা ও অতি বৃষ্টি-বন্যায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে এবং সঞ্চিত পানিতে হাঁস ও মাছ চাষসহ গৃহস্থলীসহ কৃষি কাজে ব্যবহার করে অনেকে সাবলম্বি হয়ে দাঁড়াতে পারবে। দীর্ঘদিন ধরে খালগুলো অবৈধ দখল ও পলি পড়ে ভরে যায় আর উক্ত খালে খনন কাজ শেষ করায় খুশি স্থানীয়রা। এছাড়াও গত অর্থবছর বোয়ালের দাঁড়া হতে মোয়ামারী হয়ে বেরুবাড়ী সুইচ গেট পর্যন্ত ৬কিলোমিটার খাল খনন হওয়ায় কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধিসহ এলাকার মানুষ পেয়েছে খাল খননের সুবিধা।

নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ লিয়াকত আলী লাকু বলেন, সফল সরকারের সফল উদ্যোগ কে স্বাগত জানাই। গিরাই নদী ৮.৩৩কিলোমিটার  পুনঃ খনন শেষ হওয়ায় নদীতে পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পাড়ের ফসলের জমি পাচ্ছে সেচ সুবিধা ও বৃষ্টি-বন্যায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। কৃষকরা পাচ্ছে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা।

চর ভুরুঙ্গামারী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মানিক উদ্দিন ও স্থানীয় সাইদুল রহমান, জুয়েল, ফজলুল হক, মনুসহ অনেকে বলেন, গিরাই নদী- মরা শংকোষ খাল পুনঃ খনন কাজ শেষ হওয়ায় জলাবদ্ধতা থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। জমিতে সেচ দিয়ে ফসল চাষাবাদ করার পাশাপাশি হাঁস ও মাছ চাষ করাসহ বিভিন্ন উন্নতি হবে।

ঠিকাদার মোসলেম উদ্দিন বলেন, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নাগেশ্বরী গিরাই নদী ও ভুরুঙ্গামারীর মরা শংকোষ খাল পুনঃ খনন কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বিধি মোতাবেক শেষ করেছি।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নাগেশ্বরী উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে খালগুলো পলি পড়ে মজাভরে যাওয়া এ খাল পুনঃ খনন কাজ শেষ হয়েছে। খনন শেষ হওয়ায় স্থানীয়রা এর সুফল পাচ্ছেন।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষ রংপুর সার্কেলের-ইআইআর প্রকল্প পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান খান বলেন, বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারীতে গিরাই নদী- মরা শংকোষ খাল পুনঃ খনন কাজ শেষ হয়েছে। খনন শেষ হওয়ায় খালে পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে ও বৃষ্টি বন্যায় পানি সহজেই নেমে যাচ্ছে ফলে জলাবদ্ধ দূর হয়ে কৃষিজমি চাষাবাদের উপযোগী হয়েছে এতে করে কৃষকরা সাবলম্বী হয়ে উঠবে। পর্যায়ক্রমে এ দুই উপজেলার অন্যান্য মজা খালগুলি পূনঃ খনন করা হবে বলে জানান।

পুলিশের অসাদাচরনের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 শিশু রুকাইয়া রহমান আনহাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
নীলফামারীর চিলাহাটিতে পেকিন হাঁস  পালন বিষয়ক খামার দিবস অনুষ্ঠিত