ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় জেলা যুবদলের সদস্য লিটন মন্ডলকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে হাত বিচ্ছিন্ন করেছে প্রতিপক্ষরা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। সে জেলা সদরের বাড়িবাথান গ্রামের মৃত রেজাউল মন্ডলের ছেলে এবং পাগলাকানাই ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক। এদিকে যুবদল নেতাকে কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদে শহরের হামদহ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
পুলিশ রাত ১০ টার দিকে এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আনোয়ার ও উবায়দুর রহমানকে আটকে করেছে থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে শহরের দিকে আসছিল লিটন মন্ডল। পথিমধ্যে পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আসলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা কয়েকজন তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে যায়। সেসময় স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে তাকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের মধ্যে দুজনকে আটক করেছি। বাকিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে থানায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।
সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা: জেসমিন সুলতানা জানান, লিটনের ডান হাত পুরোটা এবং বাম হাতের বেশীর ভাগ অংশ কাটা পড়েছে। এছাড়াও শরীরের অন্যান্য স্থানেও ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাত আছে। শারীরিক অবস্থা খুবই আশংকাজনক।তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ বলেন, যুবদল করার কারনেই লিটন মন্ডলকে কুপিয়ে আহত করেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। ইতোপূর্বেও তার উপর একাধিকবার হামলা হয়ছিল। আজ এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছি। সামনে এর প্রতিবাদে কর্মসুচি ঘোষণা করা হবে।