প্রশাসনের ফাঁদে আটক রেলওয়ে কালোবাজারি ও ট্রেনের কাউন্টার ম্যান
- মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
-
২০২৩-০৭-০৯ ১০:২৬:৪২
- Print
ভোরে ছদ্মবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)৷ ট্রেনে কাউন্টার খোলার পর গেলেন টিকেট কাটতে। সেখানে দেখলেন নানান অব্যবস্থাপনা। সেখানে জানতে পারেন জুয়েল (২৪) নামের এক টিকেট কালোবাজারি মোবাইলে যোগাযোগ করে টিকেট বিক্রয় করছে। এই খবরে জুয়েলের নাম্বার নিয়ে তারাও যোগাযোগ করলেন। জুয়েল টিকেট বিক্রয় করতে আসলে তাদের হাতে ধরা পড়ে। এই অভিযানে টিকেট ফখরুল (৫০) নামের এক কাউন্টার ম্যানকেও আটক করা হয়। রোববার (০৯ জুলাই) ভোর ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ঘটনাটি ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসাইন ছদ্মবেশে ধারণ করে ভোরে রেলস্টেশনে যায়। সেখানে গিয়ে শুনেন, জুয়েল নামে এক যুবকের কাছে অনেক টিকেট পাওয়া যায়। জুয়েলের মোবাইল নাম্বার উনারা সংগ্রহ করলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম শেখ তাকে ফোন করে টিকেট কিনতে চান। এ সময় জুয়েল ফোনে জানান যতগুলো লাগবে সব টিকেট ম্যানেজ করতে পারবে কিন্তু প্রতি টিকেট এর মূল্য ২৫০ টাকা দিতে হবে। দরকষাকষির এক পর্যায়ে জুয়েল স্টেশন গেটের সামনে এসে টাকা দিয়ে টিকেট সংগ্রহ করতে বলে। এমন সময় হাতে নাতে ধরা পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের টিকেট কালোবাজারি জুয়েল।
এসময় হাতে লিখে ট্রেনের টিকেট বিক্রয়ের সময় ফখরুল নামের এক কাউন্টারম্যানকে আটক করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, আটক টিকিট কালোবাজারি জুয়েলকে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৯১ ধারায় ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া টিকেট কাউন্টার ম্যান ফখরুলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারায় এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে চারজনকে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করে।