ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে ফের বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। ইতোমধ্যে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (৫ জুলাই) সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার। যা স্বাভাবিকের চেয়ে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৯ টায় ব্যারেজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার যা বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচে। তিস্তা নদীর স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জুন মাসের শুরু থেকে তিস্তার পানি বাড়া-কমার মধ্যে আছে। গত সোমবার (১৯ জুন) তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। এরপর মঙ্গলবার (২০ জুন) থেকে পানি আরও কমতে শুরু করে স্বাভাবিক হলেও আজ আবার বেড়েছে।
এদিকে পানি বাড়ার কারনে হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নসহ জেলায় তিস্তার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে পানি বাড়লেও বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন বলেন, আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতির খোজখবর নিচ্ছি। বন্যা মোকাবেলায় আমরা সার্বক্ষণিক চেষ্টা করছি।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জানান, বুধবার সকাল ৬টার দিকে তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ১৮ মিটার, যা বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু সকাল ৯টায় তা কমে ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। তবে আগামী কয়েকদিন পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি থেকে ওঠানামা করবে।