হাইকোর্টের নির্দেশে সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতীর কাছে সকল দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান। বুধবার (২১ জুন) দুপুর আড়াইটায় সাতক্ষীরা পৌরসভার ১৩ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও গনমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে দায়িত্ব বুঝে পান মেয়র চিশতী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা(সিইও) মোঃ নাজিমুদ্দিন, সচিব লিয়াকত আলী, হেড ক্লার্ক প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জী প্রমুখ।
এর আগে বেলা ১১টায় মেয়র চিশতী পৌরসভায় এসে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করার পরও তাকে কোন দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। এরপর দুপুর আড়াইটায় কিছুটা নাটকিতার মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় নিয়মমাফিক ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর কথা থাকলেও পৌরসভার কোন জনপ্রতিনিধি তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাননি।
এসময় গনমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে মেয়র চিশতী জানান, তারা ৩ ঘন্টা বসিয়ে রেখে অসহযোগিতা করেছে। কোন নিয়ম তারা অনুসরন করেনি। হাইকোর্টের আদেশক্রমে তিনি এখানে পুনর্বহাল থাকবেন, দায়িত্ব হস্তান্তর করার কোন নিয়ম নেই, তবে সবকিছু তিনি বুঝে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে প্যানেল মেয়র-১ কাজী ফিরোজ হাসান জানান, মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে তিনি ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেই দায়িত্ব মেয়র চিশতীকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব পৌর মেয়র চিশতী ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি নাশকতার মামলায় কারাগারে যান এবং সেই কারনে ৬ ফেব্রুয়ারী তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। একইসাথে প্যানেল মেয়র-১ কাজী ফিরোজ হাসান ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব বুঝে নিতে বলা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারী চিশতী জামিনে মুক্ত হবার পর ১৪ ফেব্রুয়ারী বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বিত হাইকোর্ট ডিভিশনের দ্বৈত বেঞ্চ এক আদেশে চিশতীর বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন। এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় মেয়র চিশতী পৌরসভায় প্রবেশ করে দায়িত্ব বুঝে নিতে গেলে তাকে বাধা দিয়ে লাঞ্চিত করেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান সহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দসহ সিইও নাজিম উদ্দিন । তখন তিনি স্বপদে বহাল হতে পারেননি। এরপর গত ১৯ জুন সোমবার এক স্মারকপত্রে সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতীর কাছে সকল ক্ষমতা বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।