উপমহাদেশ অন্যতম বৃহত্তর দিনাজপুরের ঈদুল আজহার জামাতে মুসল্লিদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা
- শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর
-
২০২৩-০৬-১৭ ১২:৪৪:৩৮
- Print
উপমহাদেশ অন্যতম বৃহত্তর দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ ময়দানে এবারের ঈদুল আজহার জামাতে মুসল্লিদের অংশগ্রহণের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঈদগাহ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতি সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হুইপ,ইকবালুর রহিম বলেন, দিনাজপুরের ঈদগাহ জামাত দেশ ছাড়িয়ে ইতোমধ্যে বিদেশেও পরিচিতি লাভ করেছে। বিশাল এ জামাতে দিনাজপুর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুসল্লিরা আসেন নামাজে শরীক হতে। মুসল্লিরা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে খোলা মাঠে নামাজ আদায় করতে পারেন এজন্য সারা ঈদগাহ জুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।এবার বাইরের জেলা থেকে মুসুল্লিরা যেন জামাতে নামাজ আদায় করতে পারেন এজন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা থাকবে। ঈদের দিনে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য পঞ্চগড় থেকে দিনাজপুর ও পার্বতীপুর থেকে দিনাজপুরে বিশেষ ট্রেনটি চলাচল করবে।
জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মমিনুল করিম, বিজিবির ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল, পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সিভিল সার্জন ডা. এএইচ এম বোরহান উল ইসলাম সিদ্দিকী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার ও প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানান, ঈদুল আজহার জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।
ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের খতিব ইমাম মাওলানা সামছুল হক কাশেমী।
পুরো ঈদগাহ জুড়ে থাকবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমনটাই জানিয়েছেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মমিনুল করিম। তিনি বলেন,চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবেন। সকাল ৭টা থেকে মুসল্লিরা মাঠের প্রবেশ পথ দিয়ে আসতে থাকেন। ১৭টি গেট মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে শুধুমাত্র জায়নামাজ ও ছাতা নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। থাকবে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার।
তিনি জানান, ৩০টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো ময়দার মনিটরিং করা হবে। ১১০টি মাইক সংযোজন করা ছাড়াও ইমামকে সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসা থেকে ১৫০ মুক্কাবির নিয়োজিত থাকবেন বলেও জানানো হয়।